সেনা প্রত্যাহারের কথা বললেও রাশিয়া (Russia Ukraine) যে কোনও সময় ইউক্রেনের উপরে হামলা চালাতে পারে বলে বুধবারই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার পেন্টাগন স্পষ্ট অভিযোগ করল, রাশিয়া অত্যন্ত গোপনে ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে। ইউক্রেনে হামলা চালাতে সীমান্তে অতিরিক্ত ৭০০০ সেনা মোতায়েন করেছে পুতিনের দেশ।
বুধবার রাতে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, রাশিয়া জানিয়েছে তারা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা ফিরিয়ে আনছে। কিন্তু তা নয়। আসলে রাশিয়া সকলকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। আমাদের কাছে গোপন রিপোর্ট আছে যে, রাশিয়ার সেনা ফেরানোর দাবি পুরোপুরি মিথ্যা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনা নস্যাৎ করেছিল মস্কো। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র আইগর কোনাশেনকভ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন সীমান্তে তাঁদের সেনা বাহিনীর মহড়া শেষ হওয়ায় তারা ঘাঁটিতে ফিরে আসছে। ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনও পরিকল্পনাই নেই তাঁর দেশের। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। প্রায় বাইডেনের সুরে সুর মিলিয়েই তিনি বলেন, সেনা সরানোর যে দাবি রাশিয়া করছে বাস্তবে তার কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। তাই রাশিয়ার কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্রের ওই ঘোষণাকে স্বাগত জানান ন্যাটো জোটের প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেন, ‘কোনাসশেনকভের এই ঘোষণা আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে বাস্তবে রুশ সেনা না সরা পর্যন্ত কোনও কিছুই বিশ্বাস করা যায় না।’সেনা সরানোর কথা বললেও রাশিয়া যে কোনও সময় ইউক্রেনের উপরে হামলা চালাতে পারে বলে বুধবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বাইডেনও। তিনি সাফ জানান, রাশিয়া যে সীমান্ত থেকে আংশিক সেনা সরিয়েছে, তার কোনও প্রমাণ কিন্তু আমাদের কাছে নেই। বরং বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এমন সব জায়গায় রয়েছে, যা এখনও যথেষ্ট ভয়ের।
এর পরই সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন বলেন, ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়াকে তার ফল ভুগতে হবে। আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলি ইউক্রেনকে সর্বতোভাবে রক্ষা করবে। ইউক্রেনে হামলা করলে রাশিয়ার পরিণতি খুবই করুণ হবে। মস্কো যে সে জন্যও প্রস্তুত থাকে। আমরা চাই কূটনৈতিক পথেই এই বিতর্কের মীমাংসা হোক।