কর্মজীবী মহিলা সংখ্যা কমে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন ভারত

সাম্প্রতিক সময়ে এমন অনেক সমীক্ষাই সামনে এসেছে যেখানে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে দেশে জারি করা সর্বাত্মক লকডাউনের পর কর্মজীবী মহিলাদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।…

সাম্প্রতিক সময়ে এমন অনেক সমীক্ষাই সামনে এসেছে যেখানে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে দেশে জারি করা সর্বাত্মক লকডাউনের পর কর্মজীবী মহিলাদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।

সমীক্ষা বলছে, লকডাউনের পর দেশে ১০ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। দুই বছর পর দেশ করোনাকে পেছনে ফেলে চলে গেছে, কিন্তু যেসব মহিলা কর্মী কাজ করতেন, তাদের অনেকেই এখনো কাজে ফিরে আসেননি। এই ছবি ভারত সহ বিশ্বের বহু দেশে দেখা দিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দেশে কর্মজীবী মহিলার সংখ্যা ২৬ শতাংশ থেকে কমে ১৯ শতাংশে নেমে এসেছে। আবার মহামারী এলে সংখ্যাটা আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে করোনা মহামারির কারণে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ঋণাত্মক -৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২১-২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৮.৭ শতাংশ। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়নের ট্রেন ট্র্যাকে ফিরলেও মহিলা কর্মীর সংখ্যা কমছে এবং তাঁদের জন্য কাজ করার সম্ভাবনাও কমছে।

দেশে পুরুষ ও মহিলা কর্মীদের মধ্যে ৫৮% ব্যবধান রয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে যদি এটি পূরণ করা যায়, তবে ভারতের জিডিপি এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান। ভারতের মোট জনসংখ্যার ৪৮ শতাংশ নারী, কিন্তু দেশের জিডিপিতে ইউএনওআর-এর অবদান মাত্র ১৭ শতাংশ। চিনে তা ৪০ শতাংশ।

রিপোর্ট বলছে, মহামারির সময় নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি চাকরি হারিয়েছেন। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভেও মনে করে, গত পাঁচ বছরে ২ কোটি মহিলা কর্মী ছাঁটাই হয়েছে।