Record inflation: পাইকারি বাজারে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, দামের ছ্যাঁকায় নাভিশ্বাস

উদ্বেগ বাড়িয়ে দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির (inflation) হার ১৪.৫৫ শতাংশে পৌঁছল। সোমবার কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট থেকে দেখা…

wholesale market

উদ্বেগ বাড়িয়ে দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির (inflation) হার ১৪.৫৫ শতাংশে পৌঁছল। সোমবার কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে দেশে হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স বা পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতির সূচক দুই অংকের ঘরে ঘোরাফেরা করছে। যা দেশের অর্থনীতির পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।

২০২০-র শুরুতেই ভারত তথা গোটা বিশ্ব করোনা মহামারির কবলে পড়ে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে যখন বিশ্ব অর্থনীতি সবেমাত্র ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ঠিক সে সময়ে শুরু হল রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই অপরিশোধিত তেলের দাম লাগামছাড়া ভাবে বেড়েই চলেছে। যার প্রভাব পড়ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। দেশের বাজারে

   

পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আনাজপাতি থেকে শুরু করে ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ক্রমশ কমছে। তাই সাধারণ খাদ্য সামগ্রী কেনার আগেও মানুষ দুবার নয়, ১০ বার ভাবছেন।

মোদী সরকারের পেশ করা ওই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গত নভেম্বরে দেশে পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১৪.৮৭ শতাংশ। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে সেটা কমে হয় ১৩.১১ শতাংশ। মার্চ মাসে সেই মুদ্রাস্ফীতি প্রায় দেড় শতাংশ বেড়ে বেড়ে হল ১৪.৫৫ শতাংশ। অথচ ২০২১ সালের মার্চ মাসে দেশে পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৭.৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৮.১৯ শতাংশ। তবে মার্চ মাসে সেটা কিছুটা কমে ৮.০৬ শতাংশ হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসে শাকসবজির মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২৬.৯৩ শতাংশ। মার্চে যা কমে হয়েছে ১৯.৮৮ শতাংশ। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, দেশের খুচরা পণ্য মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৭ শতাংশ ছুঁতে চলেছে। মার্চ মাসে খুচরো পণ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.০৭ শতাংশ। কিন্তু এপ্রিলে সেই হার প্রায় এক শতাংশ বেড়ে ৬.৯৫ শতাংশ হয়েছে। এর ফলে কাঁচা সবজির দাম আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সকলেই। মুদ্রাস্ফীতির হার লাফিয়ে বেড়ে চলায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দেশের বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার আরও কমিয়েছে।

আরবিআই জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির প্রস্তাবিত হার ৭.৪ শতাংশ থেকে কমে ৭.২ শতাংশ হতে পারে। এক শতাংশেরও বেশি বেড়ে মুদ্রাস্ফীতির হার হতে পারে ৫.৭ শতাংশ।