সি এস রাজন আবারও কোটাক ব্যাংকের পার্ট-টাইম চেয়ারম্যান, সিলমোহর আরবিআইয়ের

RBI approves reappointment of C S Rajan as Kotak Mahindra Bank's part-time Chairman

রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (RBI) কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাংকের পার্ট-টাইম চেয়ারম্যান হিসেবে সি এস রাজনের পুনর্নিয়োগ অনুমোদন করেছে। নতুন মেয়াদ কার্যকর হবে ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে ২১ অক্টোবর ২০২৭ পর্যন্ত। সোমবার এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাংক এই ঘোষণা জানায়, যা ব্যাংকের নেতৃত্বে রাজনের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করল।

Advertisements

বর্তমান ভূমিকা ও পুনর্নিয়োগের পটভূমি:
সি এস রাজন ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে ব্যাংকের বোর্ডে যোগ দেন, এবং ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পার্ট-টাইম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন দায়িত্বকাল শুরু হলে নেতৃত্বে তার উপস্থিতি ব্যাংকের কৌশলগত রূপান্তর ও প্রবৃদ্ধি পরিকল্পনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া:
কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও অশোক ভাস্বানী জানান, “কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাংক এখন রূপান্তরের উত্তরণ পর্যায়ে। আমরা টেকসই বৃদ্ধির লক্ষ্যে এগোচ্ছি। এই পথচলায় রাজনের অভিজ্ঞতা ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের আরও শক্তিশালী করবে।”
সি এস রাজন তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে পেরে আমি সম্মানিত। বোর্ড ও ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মিলে স্টেকহোল্ডারদের জন্য আরও মূল্য সৃষ্টির লক্ষ্যে আমি কাজ চালিয়ে যাব।”

চার দশকের নেতৃত্বগাথা:
সি এস রাজনের কর্মজীবন প্রায় ৪৬ বছরের, যেখানে তিনি সরকারি প্রশাসন এবং বেসরকারি উভয়ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ছাপ রেখে গেছেন। ইতিহাসে স্নাতকোত্তর রাজন ১৯৭৮ ব্যাচের আইএএস কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন শুরু করেন এবং ২০১৬ সালে রাজস্থানের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেন। জ্বালানি, জলসম্পদ, সড়ক, শিল্প, MSME ও কৃষি—বহু গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে তার কাজ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

Advertisements

অবসরের পরও তিনি নানা দায়িত্বে যুক্ত ছিলেন। তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান ছিলেন এবং পরবর্তীতে কেন্দ্র সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা IL&FS বোর্ডে এমডি ও পরে নন-এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বর্তমান দায়িত্ব ও আগামীর দৃষ্টি:
রাজন বর্তমানে কোটাক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবেও যুক্ত। তার নেতৃত্বে কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাংক ভবিষ্যতে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে আরও গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই পুনর্নিয়োগ কোটাকের কৌশলগত নীতি, স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে বলেই পর্যবেক্ষকদের মত।