মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় নিজেকে ডক্টরেট বলে ঘোষনা করেছিলেন। দেয়াল লিখনে সেটা দেখে রেগে কাঁই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু খোঁজখবর করে বলেন ওটা জাল ডিগ্রি। চুপসে গিয়ে মমতা সেই যে নিজেকে ডক্টরেট বলা বন্ধ করেন আজও করেননা। দলনেত্রীর মতো ডক্টরেট হওয়ার খুব ইচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। হয়েওছেন। এসএসসি দুর্নীতির মামলা বিপুল বেআইনি লেনদেনের তদন্তে তিনি এখন ইডি হেফাজতে। এর পরেই উঠে এসেছে পার্থবাবুর ডিগ্রি বিতর্ক।
অভিযোগ আগেই ছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এক গবেষকের গবেষণাপত্র থেকে টুকে নিজের পিএইচডি পত্র জমা করেছিলেন। সে নিয়ে বিতর্ক পরে চাপা পড়ে। এবার তৃ়ণমূল কংগ্রেস মহাসচিবের তিন বছর আগে পাওয়া একটি ডিগ্রি নিয়েই এখন কথা উঠছে।
তিন বছর আগে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডিগ্রি উপহার দেওয়া হয়েছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (NBU) তরফ থেকে। সেই ডিগ্রি পাওয়া যোগ্য তিনি ছিলেন কি না সেটা নিয়েও কথা উঠেছে। কেন সারা বাংলাতে এত বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে তাকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকেই এই ডিগ্রি নিতে হল?আর কেনই বা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ যাচাই করলেন না এটা নিয়ে এই কথাও উঠেছে।
বিতর্কে জড়িয়েছেন তৎকালীন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। অভিযোগ, তিনিও প্রশ্ন তোলেননি এই ডিগ্রি দান নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিযোগ, ডিগ্রি পাবার পরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী একবারের জন্যও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। বিতর্ক ক্রমে বড় আকার নিচ্ছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজ্যের অন্যতম এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি পড়ুয়াদের।
সেটা নিয়েও এখন কথা উঠেছে।একজন বহিরাগতকে সত্যি সত্যি এইভাবে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইভাবে ডিগ্রী দেওয়া যায় কি না তা নিয়েও কথা উঠেছে।আর এত তাড়াতাড়ি তিনি কিভাবে ডিগ্রী পেয়ে গেলেন সেটা নিয়েও এখন কথা তুলছেন সেখানকার প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরাও। তাহলে কিভাবে তিনি এই ডিগ্রী পান? কোন নিয়মেই তাকে এই ডিগ্রী দেওয়া যায় না বলছেন প্রাক্তনীরা। যদি এই কথা কিংবা এই তথ্য সত্যি হয় তবে বড়সড় বিপদের মুখে পড়তে চলেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।হয়ত সেরকম কিছুই হবে না তবে তার সুনাম যে নষ্ট হবে এবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।