Pakistan: আর্থিক সংকটে পড়া ‘কাঙাল’ পাকিস্তানে ১৬০০ টাকা কেজি চা এবং অগ্নিমূল্য মুরগি

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি পাকিস্তানে (Pakistan) মুদ্রাস্ফীতি মানুষের জীবনকে কঠিন করে তুলেছে। নিউজ এজেন্সি আইয়ানস স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, করাচি সিটি-সহ পুরো পাকিস্তানে মুরগির ও মুরগির দামের দাম দ্রুত বেড়েছে।

Pakistan's Economy

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি পাকিস্তানে (Pakistan) মুদ্রাস্ফীতি মানুষের জীবনকে কঠিন করে তুলেছে। নিউজ এজেন্সি আইয়ানস স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, করাচি সিটি-সহ পুরো পাকিস্তানে মুরগির ও মুরগির দামের দাম দ্রুত বেড়েছে। সামা টিভি জানিয়েছে, করাচিতে মুরগির বর্তমান দাম প্রতি কেজি প্রতি ৪৯০ টাকা, যখন মুরগির মাংসের দাম প্রতি কেজি প্রতি ৭২০ টাকায় পৌঁছেছে। সামা টিভি বলেছে, দামের এই বৃদ্ধি ফিডের অভাবে অনেক পোল্ট্রি ব্যবসা বন্ধ করার কারণে হয়েছে।

আরও পড়ুন: Pakistan news: সাহায্যের অজুহাতে চিনা চালে বেকায়দায় ‘কাঙাল’ পাকিস্তান

পোল্ট্রি ব্যবসায়ের মালিকরা আকাশ ছোঁয়া মূল্যের পিছনে ফিডের অভাবকে উদ্ধৃত করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক কেজি পোল্ট্রি মাংস করাচিতে ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাওয়ালপিন্ডি, ইসলামাবাদ এবং অন্যান্য কয়েকটি শহরে মুরগির দামও এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে৷ এক কেজি পোল্ট্রি মাংস ৭০০-৭০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, মুরগির মাংসের দাম দেশের দ্বিতীয় জনবহুল শহর লাহোরের প্রতি কেজি প্রতি ৫৫০-৬০০ টাকার মধ্যে চলছে। এই ক্রমবর্ধমান দামগুলি অনেক গ্রাহকের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা প্রোটিনের প্রধান উত্স হিসাবে মুরগির উপর নির্ভর করে।

Advertisements

আরও পড়ুন: দানা খাবে না, গুলি-বোমা মারবে! জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান, জঙ্গিদের ইচ্ছা প্রকাশ্যে

পাকিস্তান যেমন অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ নগদ সঙ্কটের দেশে কালো চায়ের দাম গত ১৫ দিনের মধ্যে কেজি প্রতি ১,১০০ রুপি থেকে বেড়ে ১,৬০০ টাকা হয়েছে। একজন খুচরা বিক্রেতা জানিয়েছেন, একটি বড় ব্র্যান্ড ১৭০ গ্রাম গ্রানুলার এবং এলাচ প্যাকের দাম ২৯০ থেকে ৩২০ এবং ৩৫০ টাকা বাড়িয়েছে। ৯০০ এবং ৪২০ গ্রাম প্যাকের দাম এখন ১,৩৫০ এবং ১,৪৮০ টাকা ৷ অন্যান্য প্যাকাররাও দাম বাড়াতে প্রস্তুত। ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) টি ফেডারেশন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির আহ্বায়ক জিশান মকসুড বলেছেন, এই সময়ে আমদানি সংকটে রয়েছে, যা মার্চ মাসে বিশাল ঘাটতি ঘটাতে পারে।