পাকিস্তান (Pakistan) জুড়ে রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের চেষ্টা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ইমরান খানের চিকিৎসা চলছে। তাঁকে ভিড়ে ঠাসা গুজরানওয়ালার রাজনৈতিক জমায়েতে খুন (Murder Attempt on Imran Khan) করার চেষ্টা করা হয়।
কী অবস্থা ইমরান খানের? প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ও প্রাক্তন বিশ্বকাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক গুলিবিদ্ধ হবার পর লাহোরের সওকত খানম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
- ২০০৭ সালে রাওয়ালপিন্ডির জনসমাবেশে গুলি করে খুন করা হয়েছিল পিপিপি নেত্রী বেনজির ভুট্টোকে
- বেনজির প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হারিয়ে ফের জনসমাবেশ করে ভোট যুদ্ধে নামতে তৈরি হচ্ছিলেন
- সেই মাঠেই ১৯৫১ সালে খুন করা হয়েছিল পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলি খানকে
পাকিস্তানের রাজনীতিতে ক্ষমতাচ্যুত শাসকদের খুনের ঘটনা ঘটেছে বারবার। এবার অল্পের জন্য ইমরান খান বাঁচলেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গুলি করায় অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তার দাবি, ইমরান খান জনতাকে বিভ্রান্ত করছিলেন। তাই তাকে গুলি করেছি।
এদিকে চিকিৎসারত ইমরান খানের ছবি প্রকাশিত হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে তাঁর পায়ে ব্যান্ডেজ।
গুজরানওয়ালাতে ইমরান খানকে খুনের চেষ্টার তীব্র নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেছেন আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে নির্দেশ দিয়েছি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের।
The Express Tribune জানাচ্ছে, সরকার বিরোধী জনমত সংঘটিত করতে পাকিস্তান জুড়ে লং মার্চ করছেন তেহরিক ই ইনসাফ দলের প্রধান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই কর্মসূচি অনুসারে বৃহস্পতিবার ছিল গুজরানওয়ালার জমায়েত।
গুজরানওয়ালার আল্লাওয়ালা চকে বিরাট জমায়েত হয়। সেই সমাবেশে আচমকা এক ব্যক্তি গুলি চালাতে শুরু করে। বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ইমরান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফ দাবি করেছে ইমরান খান গুলিবিদ্ধ। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে।
The Dawn জানাচ্ছে, গুলিবিদ্ধ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আরও অনেকে জখম। হামলাকারী ধরা পড়েছে। ইমরান খানকে খুনের জন্যই এই হামলা হয়।
Geo TV জানাচ্ছে, ইমরান খান নিজে পায়ে ও চোখে চোট পেয়েছেন। জখম ইমরান খানকে গাড়িতে বের হওয়ার সময় তাঁর পায়ে ব্যান্ডেজ নজরে এসেছে। মুখে ছিল রক্তের দাগ।
সম্প্রতি তেহরিক ই ইনসাফের জোট শরিক দলগুলি বিরোধী পক্ষের জোটে গিয়ে ইমরান খানের সরকার ফেলে দেয়। পাকিস্তানের ক্ষমতায় এখন পিএমএলএন ও পিপিপি সহ জোট শরিকদের সরকার। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
ক্ষমতাচ্যুত হবার পর থেকে শাহবাজ শরিফের সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন করছেন ইমরান খান। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি হলেও তীব্র গণবিক্ষোভের কারণে সেটি কার্যকরী হয়নি এখনও। আর ইমরান খান লং মার্চ করছেন।
এরমকমই লং মার্চের জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল গুজরানওয়ালাতে। সেখানেই গুলি করা হয় ইমরান খানকে।
২০০৭ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে ভরা জনসমাবেশে গুলি করে খুন করা হয়েছিল পিপিপি নেত্রী বেনজির ভুট্টোকে। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হারিয়ে ফের জনসমাবেশ করে ফের ভোট যুদ্ধে নামতে তৈরি হচ্ছিলেন।