Pakistan: চিনকে ‘শিক্ষা’ দিতে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা বালোচ বিদ্রোহীদের

বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) সংগঠনের নাশকতায় কেঁপে গিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) বাণিজ্য রাজধানী করাচি। এই বন্দর নগরীর করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মাঘাতী হামলার দায় নিয়েছে পাক সরকারের সঙ্গে…

বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) সংগঠনের নাশকতায় কেঁপে গিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) বাণিজ্য রাজধানী করাচি। এই বন্দর নগরীর করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মাঘাতী হামলার দায় নিয়েছে পাক সরকারের সঙ্গে দশকের পর দশক ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি।

মঙ্গলবার দুপুরে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এক গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিনজন চিনের নাগরিক। তিনজনের মধ্যে দু’জন ছাত্রী। জখম হয়েছেন বেশ কয়েক জন। যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।

পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ ও করাচি অনেক জঙ্গি নাশকতায় রক্তাক্ত হয়েছে। প্রতিক্ষেত্রে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন দায় নিয়েছে। এবার করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যেভাবে বালোচিস্তানের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামলা করছে তা নজিরবিহীন। করাচি পুলিশের তরফে জানানো হয় বিএলএ এই হামলার পর দায় নিয়েছে।

করাচি পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সাদা রঙের গাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দে এলাকার মানুষ ও পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই ছুটোছুটি করতে থাকেন।

সিন্ধ প্রদেশের প্রতিবেশি বালোচিস্তান প্রদেশ। এখানেই বিচ্ছিন্নতাবাদী বিএলএ গোষ্ঠী বেশি সক্রিয়। পাকিস্তান জন্মের সময় থেকে বালোচরা বরাবর পাক সরকারের বিরোধিতা করে পৃথক স্বায়ত্বশাসনের দাবি তোলে। শুরু হয় দু তরফের সংঘর্ষ। বালোচ বিদ্রোহীদের দাবি, জবরদস্তি পাক সরকার এই অঞ্চলে তাদের শাসন কায়েম করেছে। যেভাবে তারা বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছিল সেরকমই পরিস্থিতি তৈরি করেছে বালোচিস্তানে।

এদিকে চিনের কাশগড় থেকে পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর পর্যন্ত বাণিজ্যিক এলাকার তীব্র বিরোধী বালোচ বিদ্রোহীরা। বারবার হামলা হয়েছে। এবার করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলার লক্ষ্য যে চিনকে বার্তা দেওয়া সেটি স্পষ্ট।

বালোচ বিদ্রোহীরা বেছে নিয়েছিল করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। পুলিশ জানিয়েছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে বিদেশী ভাষা শেখানো হয়। তাই সেখানে বেশ কিছু বিদেশি ছাত্রছাত্রী আছে। এদিন ক্লাস শেষে পড়ুয়ারা যখন হস্টেলে ফিরছিল সে সময় প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে হতাহতদের বেশিরভাগই বিদেশি পড়ুয়া। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। পুলিশ দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।