শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে বোমা ফাটালেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী৷ তিনি বললেন ৩৮ বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন৷ এর মধ্যে ২১ জন তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন৷ সঙ্গে রয়েছেন চার সাংসদ।
মিঠুন চক্রবর্তীর এই বয়ানে চোখ কপালে উঠেছে রাজনীতিবীদদের৷ আগামী দিনে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য সত্যি হতে চলেছে? মহারাষ্ট্রের মতো এখানেও কী একনাথ শিন্ডের দেখা মিলবে? যদি তা হয় তাহলে সেই ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে?
শিক্ষক দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাক্তন, পূর্বতন ও নতুন বিধায়কদের নাম জড়াতে শুরু করেছে। সরকারি চাকরির জন্য সুপারিশ করে মন্ত্রীকে নামের তালিকা পাঠিয়েছিলেন বহু বিধায়করা৷ ইতিমধ্যেই একাধিক জনের নাম আদালতে জমা পড়েছে। কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি ও সিবিআই৷ দুর্নীতির চাদরে ঢাকা পড়তেই বিজেপির আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন বিধায়করা। এমনিটাই জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে৷
আবার মিঠুনের এই বক্তব্যকে ঘিরে কাটাছেঁড়াও শুরু হয়েছে৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত মিঠুন চক্রবর্তী ভালো অভিনেতা হলেও রাজনীতিতে তাঁর বিচক্ষণতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে৷ তাই তিনি এই কথা বলছেন। তার ওপর দলে দলে বিধানসভা নির্বাচনের পর যেভাবে বিজেপি থেকে সাংসদ বিধায়করা দলে দলে যোগদান করেছেন তাতে মিঠুনের বচন সত্য হবে কী না সেটা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকেই।
শুধু শাসক তৃণমূল নয় বিরোধী বিজেপির ঘরেও এসএসসি দুর্নীতির ছায়া। পড়ুন
SSC Scam: তৃণমূলের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াতে পারে বিজেপির
তবে মিঠুন চক্রবর্তীর এই বক্তব্যকে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ এর সবথেকে বড় কারণ হল শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য৷ প্রকাশ্য জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সবে মহারাষ্ট্র দিয়ে শুরু হয়েছে। এ বারে ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান হবে। এই রাজ্যেও ২০২৬ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। ২০২৪ সালেই এই সরকারকে বিসর্জন দেব আমরা। আজ দলবদলুদের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ উঠে এল মিঠুনের বক্তব্যেও।