Nuclear War: মুখেই কেবল ‘শান্তি… শান্তি’! পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের ক্ষেত্রেও অস্পষ্ট চিনের অবস্থান

এক মেরুতে রাশিয়া, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে চিন। তবে তা মৌখিকভাবে। খাতায়-কলমে এখনো রাশিয়া-ব্রিটেনের পাশে নেই জিন পিং-এর দেশ। তাই…

এক মেরুতে রাশিয়া, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে চিন। তবে তা মৌখিকভাবে। খাতায়-কলমে এখনো রাশিয়া-ব্রিটেনের পাশে নেই জিন পিং-এর দেশ। তাই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের (Nuclear War) ব্যাপারে এখনও পাওয়া যায়নি সম্মতি পত্র৷

ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি এবং ব্যবহারের বিরুদ্ধে সায় দিয়েছে চিন (China)-সহ ৫ দেশ। আগামী দিনে যাতে পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন দেশগুলির মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে ব্যাপারে সচেষ্ট উক্ত দেশগুলো। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা ব্যাপারেও তারা আগ্রহী।

চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী মা জাউসু বলেছেন, ‘যৌথভাবে নেওয়া এই উদ্যোগ পারস্পারিক বিশ্বাসযোগ্যতা এবং ভরসা আদায় করার পক্ষে অনুঘটকের কাজ করতে পারে।’ চিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ব্যাপারে ‘উৎসাহী নয়’ এমনটা প্রকাশিত হয়েছে সে দেশের সংবাদসংস্থায়।

যৌথভাবে বিবৃতি প্রকাশ করা হলেও দুশ্চিন্তার মেঘ সারাতে পারছেন না কূটনৈতিক মহলের একাংশ। শীত যুদ্ধের পর সম্প্রতি-সময়ের আমেরিকা (America), রাশিয়া (Russia) কিংবা চিনের অবস্থান সম্পর্কে তাঁরা সন্দিহান। গত বছর নভেম্বরে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে অনুমান করা হয়েছিল ২০২৭ সালের মধ্যে লাল দেশের অস্ত্র ভাণ্ডারে থাকতে পারে প্রায় ৭০০ পারমাণবিক হাতিয়ার। ২০৩০ সালের মধ্যে সেই সংখ্যাটা ছুঁতে পারে ১,০০০। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে পারে মৌখিকভাবে যুদ্ধবিরোধী চিন কেন বলীয়ান হতে চাইছেন পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে?

এর আগেও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তির বার্তা শোনা গিয়েছে চিনা প্রতিনিধির মুখে। কিন্তু ভারত (India)-সহ অন্যান্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কে আদৌ কি প্রতিফলিত হচ্ছে সেই বার্তা? লাদাখ সীমান্ত নিয়ে নতুন করে দেখা দিয়েছে চাপানউতোর। প্যাংগং-এর কাছেই নাকি সেতু তৈরির কাজে উদ্যত হয়েছে চিন। ভারত সীমান্তের কাছে উড়ানো হয়েছে জাতীয় পতাকা, এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। প্রশ্ন থাকবে, চিনের শান্তির বার্তা শুধুই মৌখিক?