IRCTC: ২ ঘণ্টার ওপর ট্রেন দেরি হলেই মিলবে রেলের এই পরিষেবা

আজও দূরপাল্লার যাত্রীদের কাছে দেশের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল ট্রেন। দেশে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রেন চলাচল করে, একাধিক দেরী হয়, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ…

আজও দূরপাল্লার যাত্রীদের কাছে দেশের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল ট্রেন। দেশে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রেন চলাচল করে, একাধিক দেরী হয়, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ সমস্যায় পড়ে। এহেন অবস্থায় অনেকের কাছেই বড়সড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় খাবার ও পানীয় জলের। কিন্তু খুব কম মানুষই জানবেন, ট্রেন দেরিতে হলে রেলের পক্ষ থেকে আপনাকে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া হয়। এই পরিষেবা দেওয়া হয় IRCTC-র তরফে।

আইআরসিটিসি-র তরফে জানানো হয়েছে, এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের ট্রেন দেরিতে এলে সম্পূর্ণ খাবার ও পানীয়ের সুবিধা দেওয়া হয়। যদিও খুব কম সংখ্যক যাত্রীই এই বিষয়ে জানেন, তবে রেলের নিয়মে যাত্রীদের কিছু অধিকার দেওয়া হয়েছে, যার সুযোগ নেওয়া উচিত। আপনার ট্রেন রেলের সময়ের চেয়ে বেশি দেরি করলে তবেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

রেলের নিয়ম অনুযায়ী বিনামূল্যে খাবার ও পানীয়ের সুবিধা মিলবে শুধুমাত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের জন্য। অর্থাৎ শতাব্দী, দুরন্ত, রাজধানী-র মতো ট্রেনের যাত্রীদের জন্য এটি খুবই উপযোগী প্রমাণিত হতে পারে। এক্সপ্রেস ট্রেন দু’ঘণ্টা বা তার বেশি দেরিতে চললে যাত্রীদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয় আইআরসিটিসি-র তরফে।

রেলের ক্যাটারিং নীতি অনুযায়ী, ট্রেন ২ ঘণ্টা বা তার বেশি দেরি করলে যাত্রীকে ব্রেকফাস্ট ও হালকা খাবার দেওয়া হয়। এই অবস্থায় অধিকাংশ এক্সপ্রেস ট্রেন দেরিতে চললে যাত্রীদের খাবার ও ঠান্ডা পানীয় বা কফি-চা দেওয়া হয়। যাত্রীদের এই সুবিধা গ্রহণ করা উচিত, কারণ এটি রেলওয়ে দ্বারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।আপনার ট্রেন দেরিতে চললে আইআরসিটিসি দিনের মেনু অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করবে। সময় অনুযায়ী যাত্রীদের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রেল।

যাত্রীদের সকালের জল খাবারে চা বা কফি এবং দুটি বিস্কুট, সন্ধ্যার প্রাতঃরাশের জন্য চা বা কফি এবং মাখনের সাথে চারটি রুটির টুকরো দেওয়া হয়। এ ছাড়া লাঞ্চ ও ডিনার হিসেবে দুই ধরনের খাবার দেওয়া হয়। যাত্রীরা পাবেন ডাল-চাভ ও আচার বা পুরি, মিক্স-ভেজ সবজি ও আচার। সেই সঙ্গে আলাদা করে নুন ও গোলমরিচের প্যাকেটও দেওয়া হয়।