শ্রীলংকার মতো প্রতিবেশি দেশ নেপালের আর্থিক পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। বাড়ছে বাণিজ্যিক ঘাটতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত সপ্তাহে নেপাল মদ, খেলার তাস এবং জরুরি নয় এমন একাধিক জিনিস আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু কমছে বিদেশি মুদ্রা সঞ্চয়।
হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের এই দেশের অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে পর্যটনের উপর। কিন্তু গত দু’বছর ধরে করোনার কারণে নেপালের পর্যটন ব্যবসা জোরদার ধাক্কা খেয়েছে। পর্যটনে ধাক্কা লাগায় স্বাভাবিকভাবেই তার ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে।
নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, তাদের ভাণ্ডারে যে পরিমাণ অর্থ মজুদ আছে তা দিয়ে আগামী ছয় মাস আমদানি খরচ বহন করা যাবে। ২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ নেপালের যে অর্থ সঞ্চিত ছিল তা দিয়ে ১০ মাসের পণ্য আমদানি করা যেত। ২০২১ সালের জুলাই থেকেই নেপালের সঞ্চিত অর্থ ক্রমশই কমতে শুরু করে। মাত্রাতিরিক্ত আমদানির কারণেই বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার কমতে থাকে।
অন্যদিকে দেশবাসীর আয় কমায় সরকারের রোজগারেও ধাক্কা লাগে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে নেপালের সঞ্চিত অর্থ ছিল ১১.৭৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যা ১৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৯.৭ বিলিয়ন ডলার।
খরচ কমাতে ১৫ মে থেকে নেপালে প্রতি শনি ও রবিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে চলেছে সরকার। মূলত পেট্রোল ডিজেলের খরচ কমিয়ে বিদেশি মুদ্রার খরচ কমাতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অফিসের সময়ও পরিবর্তন হচ্ছে। এখন থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় অফিস শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৫ টায় অফিস বন্ধ হবে। এর ফলে বাঁচবে বিদ্যুৎ। ১৫ মে থেকে এই নতুন নিয়ম চালু হবে।
নেপালের অর্থমন্ত্রী জনার্দন শর্মা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই তাঁরা এই সংকট কাটিয়ে উঠবেন। করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাই চলতি বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ ৭ শতাংশ হবে বলে অর্থমন্ত্রীর আশা।