উত্তর কোরিয়াকে ভয় পেল আমেরিকা? কারণ আমেরিকার এক সিদ্ধান্তকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে এমনটাই প্রশ্ন উঠছে। জানা গিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর যুক্তরাষ্ট্র কিছু বিমান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার কিছু কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার পর যুক্তরাষ্ট্র তার পশ্চিম উপকূলে কিছু বিমান অল্প সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়। পিয়ংইয়ং এই মিসাইল উৎক্ষেপিত হয়েছে। গত সপ্তাহে তার পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নিউ ইয়র্কে মিলিত হয়। যদিও সিওল এই দাবির উপর সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে মঙ্গলবার কোরিয়ার উৎক্ষেপিত “সন্দেহজনক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র” হাইপারসনিক গতিতে পৌঁছেছে।
এদিকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরের একটি লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি বছরের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হিসেবে হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ করে। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশটি দ্বিতীয়বারের মতো শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার কথা জানাল। প্রসঙ্গত, অন্যান্য দেশ যেমন রাশিয়া, চীন, আমেরিকার মতো রাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই এই হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে। কয়েকটি সফল পরীক্ষাও হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, উত্তর কোরিয়ার মতো অর্থকষ্টে জর্জরিত দেশ কীভাবে একের পর এক এমন পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। তাহলে অর্থকষ্টের দাবি শুধুই কি ভাঁওতা? যদিও উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন অবশ্য জানিয়েছেন, দেশকে রক্ষা করার জন্য এ ধরনের আরও অস্ত্র উত্তর কোরিয়া তৈরি করবে।