ভাই প্রধানমন্ত্রী, নির্বাসন কাটিয়ে ফিরছেন নাওয়াজ শরিফ

ভাই শাহবাজ শরিফ এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরতে চলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরিফ। ইসলামাবাদ শরিফের পাসপোর্টে ছাড়পত্র দিয়েছে।    …

short-samachar

ভাই শাহবাজ শরিফ এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরতে চলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরিফ। ইসলামাবাদ শরিফের পাসপোর্টে ছাড়পত্র দিয়েছে।

   

চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ। ইমরান খান সরকার পড়ে যাওয়ার পরে নাওয়াজের দেশে ফেরার সম্ভাবনা ক্রমশই বাড়ছিল। শোনা যাচ্ছে, ইদের পরেই তিনি পাকিস্তানে ফিরবেন।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে নাওয়াজ শরিফের নামে সাধারণ ক্যাটাগরির পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে। ফলে কূটনৈতিক স্তরে নাওয়াজকে কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না।

কূটনৈতিক মহল মনে করছে নাওয়াজ শরিফের দেশে ফেরা নিয়ে খুব একটা হইচই হোক তা চাইছেন না পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। একাধিক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত দাদার জন্য তাই এখনই কূটনৈতিক পাসপোর্ট জারি করা হয়নি।

শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর শোনা যাচ্ছিল, মে মাসের প্রথমদিকে পাকিস্তানের ফিরতে চলেছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন নাওয়াজের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) নেতা জাভেদ লতিফ। নাওয়াজ দেশে ফিরলে পাকিস্তানের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

একাধিক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত নওয়াজ চিকিৎসার জন্য ২০১৯ সাল থেকে লন্ডনে রয়েছেন। আদালতের নির্দেশেই নাওয়াজ ব্রিটেনে গিয়েছেন। প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় নাওয়াজ অবশ্য আর দেশে ফেরেননি। নির্দিষ্ট সময়ে দেশে না ফেরায় ২০২১ সালে নাওয়াজকে অপরাধী বলে ঘোষণা করে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। কিছুদিন আগেই নাওয়াজ নিজের এবং তাঁর মেয়ে মারিয়ামের প্রাণ নাশের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁকে হত্যার ব্যাপারে ইমরান সরকার ও দেশের সেনাবাহিনী চক্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন। তবে এখন পাকিস্তানে পাশা উলটে গিয়েছে।

উল্লেখ্য ২০১৭ সালে পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি নাম জড়ানোয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি হারাতে হয়েছিল নাওয়াজকে। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলার তদন্ত শুরু করে ইমরান সরকার।