শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির পাহাড় গড়েছে রাজ্যের শাসক দল৷ প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে বিধায়ক, সকলেই জেলবন্দি৷ এরই মধ্যে বারবার ডিসেম্বরের ডেডলাইন (Mission December) দিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছেন বিজেপি নেতারা৷ সেই জল্পনা একধাপ বাড়িয়ে তারিখ ঘোষণা করে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, ১২, ১৪, ২১ তিনটে তারিখ খেয়াল রাখুন। দেখুন কী হয়।এই তিনটে দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট এন্ড ওয়াচ।
কী উদ্দেশ্য নিয়ে একথা বললেন নন্দীগ্রামের? তবে কী রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তৎপরতা আবারও বাড়বে। তাহলে কোন মামলায় বাড়বে? পরবর্তী তালিকায় কাদের নাম যুক্ত হবে? রাজনৈতিক মহলে এনিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, সত্যিই সেদিন কোনও এজেন্সির তরফে কোনও তৎপরতা হয়, তাহলে প্রমাণিত হয়ে যাবে, দিল্লির বিজেপি বলে দেয় এজেন্সিকে কী করতে হবে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি যদি ন্যূনতম কাউকে উত্যক্ত করে, তাহলে এটি সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে এগুলি সাজানো বিজেপি নেতারা তারিখ দেবেন, আর এজেন্সি গিয়ে প্যারেড করবে।
সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই দিল্লি যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সেই সফরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে ১৩ ডিসেম্বর শাহী সাক্ষাত সারবেন তিনি। সেই সময়েই রাজ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু হবে? ক্রমাগত তীব্র হচ্ছে এই প্রশ্ন৷
অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরেই রাজ্য সভাপতি পদে শুভেন্দুর নাম ঘোষণা করতে চলেছে বিজেপি। এখন তিনটি তারিখ উল্লেখ করে সেই জল্পনা বাড়ালেন না তো বিরোধী দলনেতা? যদিও অমিত শাহের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকে বিষয় স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। তাই একাধিক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে।