Travel: করোনা ফাঁড়া কাটলেই আপনার অফবিট ডেস্টিনেশন’ হোক মঙ্গরজুং

করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই গৃহবন্দি মানুষ। তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই ভ্রমনপিপাসু মানুষ ছুটবেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। তবে যারা আপকামিং ট্যুর প্ল্যান করছেন…

করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই গৃহবন্দি মানুষ। তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই ভ্রমনপিপাসু মানুষ ছুটবেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। তবে যারা আপকামিং ট্যুর প্ল্যান করছেন আর পাহাড়ে প্রত্যন্ত এলাকায় প্রকৃতির মুক্ত বাতাসে খানিকটা সময় নিস্তব্ধতায় কাটাতে চাইছেন তাদের এবার ডেস্টিনেশন হতেই পারে দার্জিলিংয়ের লোয়ার পোখিরাবং এলাকার মঙ্গরজুঙ এলাকা। এখানে এলে পর্যটকরা কিছুটা সময় নিস্তব্ধতায় কাটাতে পারবেন শহরের ব্যস্ততম জীবনযাত্রার থেকে । এখানে রয়েছে পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মুক্ত বাতাস। (Travel)

কী কী দেখবেন?

এখানে সাইট সিনের জন্য রয়েছে মিরিকের রংভাঙ,মিরিক, জোর পোখড়ি সুখিয়া, ধাজিয়া এবং রংভাঙ নদীতে সময় কাটানোর সুযোগ। পাহাড়ের সুন্দর প্রকৃতির হাতছানি প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই মিলবে । পাশাপাশি পর্যটকরা কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন পাহাড়ের ঢালে থাকা চা বাগানে।

কোথায় থাকবেন?

কংক্রিটের বড় হোটেল নেই পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকার এই পর্যটন কেন্দ্রে । তবে পর্যটকদের থাকার জন্য বেশ কিছু হোম স্টে গ্রামের মানুষরা তৈরি করেছেন। লাক্সারি হোটেলের মত সমস্ত রকমের পরিষেবা এই হোম স্টেতে রয়েছে । এছাড়াও হোম স্টের ব্যালকোনিতে বসে উপভোগ করা যাবে পাহাড়ের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্নিগ্ধতাকে।

কী খাবেন?

পাহাড়ে এলে মূলত স্থানীয় সংস্কৃতির খাবার পছন্দ করেন পর্যটকরা। তাই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এখানকার হোম স্টেগুলিতে রয়েছে স্থানীয় গোর্খা সংস্কৃতির রকমারি খাবার। এ ছাড়াও খাবারের দোকান রয়েছে স্থানীয় পর্যটনকেন্দ্র গুলিতেও । তাছাড়াও কর্মীরা তা রান্না করে দেন পর্যটকদের পছন্দ মতো খাবার।

কীভাবে যাবেন?

কলকাতা থেকে ট্রেন ধরে এনজেপি স্টেশনে নেমে যে কোন ছোট গাড়ি রিজার্ভ করলে পৌঁছে যাওয়া যাবে পোখিরাবঙের মঙ্গরজুং এলাকায়। দুটি রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় একটি মিরিক হয়ে অন্যটি জোড়বাংলা সুখিয়াপোখ্রি হয়ে । নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছোটো গাড়ি রিজার্ভ করলে খরচ হতে পারে প্রায় চার হাজার টাকার কাছাকাছি। তবে পর্যটন মরসুমে খরচা কিছুটা বাড়তে পারে।

থাকার খরচ

এখানকার হোম স্টে গুলিতে জনপ্রতি প্রায় ২ হাজার টাকা করে ধার্য করা হয়। এই টাকার মধ্যে সকালের জলখাবার এবং রাতের খাবার থাকে। তবে হোম স্টে অনুযায়ী টাকা পার্থক্য রয়েছে।