Teachers Recruit: নতুন ‘নিয়োগ’ বার্তায় মমতা সরকার ‘আইওয়াশ’ করছে না তো? বিতর্ক শুরু

শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার৷ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ইডি হেফাজতে। এরই মধ্যে সোমবার বিকেলে শিক্ষা দফতর থেকে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন ২১…

শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার৷ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ইডি হেফাজতে। এরই মধ্যে সোমবার বিকেলে শিক্ষা দফতর থেকে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন ২১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের (Teachers Recruit) জন্য তোড়জোর শুরু হবে৷ এরই মধ্যে তীব্র আলোচনা এই নিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে জ্বলন্ত আগুনকে প্রশমিত করার চেষ্টা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির বিস্তর মামলা এখনও কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন৷ এরই মধ্যে শূন্যপদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করে শিক্ষামন্ত্রী আইনকে উপেক্ষা করলেন না তো? এই প্রশ্ন উঠছে। অবশ্য ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে কথা হয়নি৷ তিনি বলেন,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের তরফে সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি শুনেছেন। তিনি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নয়, তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, আমার রাজনৈতিক যিনি নেতা তিনি বিষয়টাকে সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করছে৷ এবার সহানুভূতির সঙ্গে আইন মেশাতে হবে৷ সহানুভূতিহীন আইন অর্থহীন৷ আইন এবং সহানুভূতির সুষ্ঠু সমন্বয় চাই৷ বেআইনিভাবে আমরা কিছু করতে চাই না। আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য ৮ তারিখ চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ওরা ৮ তারিখ বৈঠকে বসার জন্য আবেদন করার কথা৷ আশা করছি শীঘ্রই আবেদন পেয়ে যাবো৷

শিক্ষা মন্ত্রী নতুন করে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ ও আপার প্রাইমারী শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের কথা বললেন। কিন্তু বিচারাধীন লক্ষাধিক চাকরি প্রার্থীদের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গেলেন।

মনে করা হচ্ছে, পুরাতন নিয়োগ তালিকায় নাম থাকা প্রার্থীদের আইনি সুরাহা না করে আবার জটিলতা বাড়ালেন না তো শিক্ষা মন্ত্রী? আপাতত ৮ তারিখের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে সকলেই৷