‘আমিও গাড়িতে কোনও বাতি লাগাই না’, সাংসদ বিধায়কদের কড়া বার্তা মমতার

গোরু পাচার মামলায় জড়ানো তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের লাল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে বিতর্ক প্রবল। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। বিতর্ক ঢাকতে…

mamata-car

গোরু পাচার মামলায় জড়ানো তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের লাল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে বিতর্ক প্রবল। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। বিতর্ক ঢাকতে কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, দলীয় কোনও সাংসদ, বিধায়ক নিজে থেকে গাড়িতে লালবাতি, নীলবাতি লাগাতে পারবেন না। আমিও আমার গাড়িতে কোনও বাতি লাগাই না। এমএলএ, এমপিরা নিজে থেকে কেউ বাতি লাগাবেন না। কার কী লাগবে, সেটা পুলিশ দেখে নেবে।

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কার্যালয় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন তিনি। এছাড়াও শৃংখলার ওপরে বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তিনি। প্রত্যেককে এক মাসের সময় দিয়েছেন। যেখানে যা সমস্যা রয়েছে সমস্তটা মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।

বিরোধী দল বিজেপি সহ সিপিআইএম, কংগ্রেসের কটাক্ষ মমতা যতই কড়া নির্দেশ দিন সবই দলীয় নেতাদের কাছে ফস্কা গেরো। দুর্নীতিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরা জড়িত এমন অভিযোগ আগেই উঠেছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভাববেন না আমি মুখ‌্যমন্ত্রিত্ব চালাচ্ছি বলে দলের ভিতরের খবর রাখি না। কোথায় কী হচ্ছে, আমি সব খবর রাখি। অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে ব‌্যবস্থা নিই না। তিন-চারবার ক্রস চেক করি। তারপর ব‌্যবস্থা নিই।

মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মানুষের জন‌্য যিনি কাজ করবেন না, তাঁর বিরুদ্ধে দল ব‌্যবস্থা নেবে। আমাদের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি আছে। সেখানে অভিযোগ জানানো যাবে। কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, সমস্ত নেতৃবৃন্দকে এক হয়ে চলতে হবে। একা চলবেন না কেউ। সবাইকে নিয়ে চলুন। কোনও জেলায়, কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত হবে না।