অবশেষে ভুবনেশ্বর থেকে পার্থকে নিয়ে কলকাতায় ফিরেছে ইডির দল। মঙ্গলবার বিমানবন্দর থেকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে পার্থকে বের করে আনা হয়। চোখে মুখে ছিল চিন্তার ছাপ। এদিকে কার্যত পার্থর ওপর থেকে হাত যে তুলে নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তা মমতার বক্তব্যেই স্পষ্ট ধরা পড়েছে। তিনি স্পষ্ট জানান, দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে যেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলে আমার আপত্তি নেই। আমি চাই, সময় মতো সত্যিটা সামনে আসুক। দুর্নীতিকে সমর্থন করি না, সব মানুষ এক নয়।’
এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘ঠিক বলেছেন।’’
সোমবার মমতা বলেন, ‘সবাই সাধু একথা বলতে পারবো না, সাধুর মধ্যেই ভূত আছে। সারা জীবন আমি রাজনীতি করেছি এই কারণে নয়, ফলটা ভোগ করার জন্য। আমি ছোট্ট বেলা থেকে রাজনীতি করি তার কারণ, আমার একটা ধারণা ছিল রাজণিতি মানেই ত্যাগ। মানুষকে ভালোবাসা। এটাই আমি আমার পিতৃ মাতৃ দেবের কাছ থেকে পেয়েছি। শিক্ষকদের কাছ থেকেও পেয়েছি। কিন্তু বলুন তো, স্কুলের কি সব স্টুডেন্টরা একরকম হয়? হলে যারা এসেছেন, তাঁরা কী একই জামা পড়ে এসেছেন? এক গাছে কলা আপেল ফোঁটে? নাকি এক গাছে আম আর আমড়া হয়? নাকি আলু আর আলুবখরা হয়? আমি কোন অন্যায়কে সমর্থন না করেও, দুর্নীতিকে সমর্থন করা আমার জীবনের নেশাও নয়, পেশাও নয়।’