Germany: লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণের মূল চক্রী জসবিন্দর, পাক সংযোগ

News Desk: তদন্তের জাল যত গুটিয়ে আনছেন গোয়েন্দারা ততই চমক। লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণের পিছনে জড়িত পাকিস্তান মদতপুষ্ট শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সংযোগ স্পষ্ট হচ্ছে। বিস্ফোরণের মূল…

News Desk: তদন্তের জাল যত গুটিয়ে আনছেন গোয়েন্দারা ততই চমক। লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণের পিছনে জড়িত পাকিস্তান মদতপুষ্ট শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সংযোগ স্পষ্ট হচ্ছে। বিস্ফোরণের মূল চক্রী জসবিন্দর সিং ধরা পড়ল জার্মানিতে।

ধৃত জসবিন্দর সিং শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এই সংগঠন ভারতে নিষিদ্ধ। তদন্তে উঠে এসেছে পাকিস্তান মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থীদের সঙ্গে জসবিন্দর জড়িত। লুধিয়ানার মতো দিল্লি ও মুম্বইতে হামলার ছক করেছিল সে।

লুধিয়ানা আদালতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা জঙ্গি হামলা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। জার্মানিতে ধৃত জসবিন্দরের লক্ষ্য ছিল দেশজুড়ে পরপর আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো। পাঞ্জাবের কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়। হোসিয়ারপুর নিবাসী জসবিন্দর সিং জার্মানিতে থাকে। তার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের নেতা গুরনন্দন সিং পন্নুর।

জসবিন্দরকে ভারতে এনে বিচারের জন্য জার্মান সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত সরকার। এই বিষয়ে জার্মান বিদেশমন্ত্রক ও নয়াদিল্লির দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক।

তদন্তে উঠে এসেছে জসবিন্দর সিং পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে অস্ত্র কারবারে জড়িত। তার নজরে ছিল পাঞ্জাব বিধানসভা ভোটকে রক্তাক্ত করা।

লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণে মৃত বরখাস্ত হওয়া পুলিশকর্মী গগনদীপ সিং। তদন্তে উঠে এসেছে, গগনদীপ সিং বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। সেই হিসেবে আদালত চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটায়। নাশকতায় নিহতের সংখ্যা দুই। সেই আত্মঘাতী হামলা করে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।