করোনা ভীতি কাটিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার পথে বিশ্ব। কিন্তু ইতিমধ্যেই চিন ফের লকডাউন করেছে ১৭.৫ মিলিয়ন মানুষের একটি শহরকে। আর তারপর থেকেই করোনার বড়সড় ঢেউয়ের আশঙ্কা শুরু হয়েছে।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চিনের ইউহানে প্রথম কোভিড-১৯ এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তারপর ক্রমে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। মহামারীর আকার নেয় কোভিড-১৯। প্রায় ২ বছর পর এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিকে দিকে। কিন্তু এরই মধ্যে চিনের লকডাউন নতুন চিন্তা কারণ তৈরি করেছে। সোমবার ২৪ ঘণ্টায় চিনে ১৪৩৬ টি মামলার রিপোর্ট এসেছে। কিছু দেশের তুলনায় এই সংখ্যা কম। তবে কর্তৃপক্ষ বলেছে যে করোনার একজন রোগীর খোঁজ পাওয়া গেলেই তারা সেই এলাকায় লকডাউন করতে প্রস্তুত।
করোনার এই মামলাগুলি ওমিক্রনের কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এমনকি করোনার অন্য ককোনও ভ্যারিয়েন্ট কিনা, তা নিয়েও ধন্দে চিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এনিয়ে কিছু বলেনি।
সরকারি সূত্রে খবর, চিনে লকডাউন “জিরো টলারেন্স” কৌশলের অধীনে আরোপ করা হয়েছে। এর লক্ষ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে করোনা রোগী খুঁজে বের করা এবং আইসোলেট করা। এই পদ্ধতিটি মহামারীর শুরুতে আরোপ করা হয়েছিল। বর্তমানে চিনে লকডাউনের ফলে সেই অঞ্চলের বাসিন্দাদের চিন সরকারের দেওয়া সামাজিক পরিষেবাগুলির উপর নির্ভর করতে হবে। এর মধ্যে রেশন, চিকিৎসা এবং খাদ্য সরবরাহ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশা করেছিলেন যে যেই দেশ অলিম্পিক নিশ্চিত করতে পারে, তারা জিরো-টলারেন্স নীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করতে পারে। কিন্তু নতুন লকডাউন সেই আশায় জল ঢেলে দিল।