সর্বভারতীয় সভাপতির লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী লালুর দুই পুত্র

বড় ছেলের পাশে রাবড়ি দেবী, ছোট ছেলের দিকে লালুপ্রসাদ। আরজেডির সংসারে শেষ হাসি কে হাসবেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। সম্প্রতি আরজেডি প্রধান তথা দেশের…

CBI gets permission to file case against Lalu Prasad Yada

short-samachar

বড় ছেলের পাশে রাবড়ি দেবী, ছোট ছেলের দিকে লালুপ্রসাদ। আরজেডির সংসারে শেষ হাসি কে হাসবেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। সম্প্রতি আরজেডি প্রধান তথা দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের শরীরটা ভাল যাচ্ছে না। তাই তিনি দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে চলেছেন এমনটাই খবর। চলতি মাসের ১০ তারিখে আরজেডির সাংগঠনিক নির্বাচনে লালুপ্রসাদের উত্তরসূরির শিরোপা কার মাথায় উঠবে সেটাই এখন বিহারের রাজনীতির মূল আলোচ্য।

   

লালুপ্রসাদের আসনে কে বসবে তা নিয়ে এখন প্রবল দ্বন্দ্ব চলছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। দলীয় প্রধানের পদ পাওয়া নিয়ে দুই ছেলে তেজস্বী ও তেজপ্রতাপের মধ্যে মুখ দেখাদেখি প্রায় বন্ধ। বড় ছেলে তেজপ্রতাপের এর পাশে আছেন মা রাবড়ি। অন্যদিকে লালু আছেন ছোট ছেলে তেজস্বীর দিকে। লালুর মেয়ে সাংসদ মিশা ভারতীও এই লড়াইয়ে রয়েছেন। তিনিও পুরোপুরি রাজনীতির মানুষ। পরিবার নিয়ে মা-বাবার সঙ্গেই থাকেন। আরজেডির প্রবীণ নেতাদের অনেকেরই ধারণা লালুপ্রসাদ তার উত্তরসূরি দায়িত্ব ছোট ছেলে তেজস্বীকেই দেবেন। কারণ তেজস্বীর মধ্যে লালুর অনেক গুণ আছে।

তবে তেজপ্রতাপ কোনওমতেই ভাই তেজস্বীকে মেনে নিতে রাজি নন। ইতিমধ্যেই বাবাকে নিয়ে দুই ছেলের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। লালু যখন জেলে ছিলেন সে সময় নিয়মিত তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন তেজস্বী। তেজপ্রতাপকে দেখা করার অনুমতিও দেওয়া হত না। কিছুদিন আগে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য লালুকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁর দেখভাল করতেন ছোট ছেলে তেজপ্রতাপ। তেজস্বী তখন অভিযোগ করেন, ছোটভাই বাবাকে কিডন্যাপ করেছে। এখন দেখার দুই ভাইয়ের এই দড়ি টানটানিতে শেষ পর্যন্ত কে জেতেন?

যদিও এদিন এই বাড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তেজপ্রতাপ বলেছেন, যতদিন বাবা বেঁচে আছেন ততদিন তিনি থাকবেন দলের জাতীয় সভাপতি। এটা থেকে স্পষ্ট যে, তেজপ্রতাপ কোনওভাবেই চাইছেন না, তেজস্বী জাতীয় সভাপতির পদে বসুক। তেজস্বী ঠান্ডা মাথাতেই দাদার মোকাবিলা করতে চাইছেন।
বিভিন্ন দিক থেকে লালুপ্রসাদ সমস্যায় রয়েছেন। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি কয়েকটি মামলায় তাঁকে ফের জেলে যেতে হতে পারে। ইতিমধ্যে তাঁর শরীর অনেকটাই ভেঙেছে। তাই শেষ পর্যন্ত কোথাকার জল কোথায় গড়ায় তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতুহল তৈরি হয়েছে।

এরই মধ্যে দেখা মিলতে পারে ২৫ বছর আগের চমক। অর্থাৎ দুই ছেলেকে বাদ দিয়ে স্ত্রী রাবড়িকে আরজেডির সর্বভারতীয় সভাপতি করবেন। সে ক্ষেত্রে অন্তত দুই ভাইকে আরও কিছু দিনের জন্য শান্ত রাখা যাবে। বোন মিশা ভারতী দলের জাতীয় সভাপতি হোক এটা দুই ভাই চায় না। দুই ভাইয়ের মধ্যে এই একটা জায়গাতেই কিছুটা মিল আছে।