২০৩৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন অভিষেক: কুণাল

“তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মত উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে,…

“তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মত উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রিত্বে জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে ভারতে নজির গড়বেন মমতাদি। তবে তার মধ্যে যদি দিল্লির এবং দেশের দায়িত্ব নিতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরেকরকম তো হবেই”। সরকার গঠনের একাদশতম বর্ষপূর্তিতে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

তাঁর কথায়, জ্যোতি বসু দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন। তারপর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী হন। এই নিয়ে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহুর্তে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। জাতীয় রাজনীতিতে বদল ঘটলে আগামী দিনে সেনাপতি অভিষেক সেই পদে আসবেন এবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

   

কুণাল ঘোষ লেখেন, “পুরনোরা মানুন, সময়ের সঙ্গে নতুনের পদধ্বনিকে স্বাগত জানাতেই হবে, আমরা ছিলাম বলে আর কেউ আসবে না, তা হয় নাকি? আবার নতুনরা মানুন পুরনোরা ভিত গড়ে না দিলে আজকের মঞ্চটাই থাকত না। এখন সময়োপযোগী কর্মসূচিতে দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাঁদের। যারা দলবদল এবং রিভার্স স্যুইংএর প্লেয়ার, তাঁরাও সবিনয়ে দলত্যাগের দিনটা মনে রেখে আজকের আচরণবিধিতে থাকুন। তৃণমূল দলে এই সমন্বয় আছে এবং থাকবে। মমতাদি অন্তত পাঁচটা প্রজন্ম তৈরি করেছেন, রাজ্য রাজনীতিতে আর কোনও দল বা কোনো নেতা যে কাজটা করেননি”।

কুণাল ঘোষের এই বক্তব্য ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানুতোর। তবে তিনি আরও বলেন, “আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। আত্মসমালোচনার জায়গায় গুরুত্ব দিতে হবে। দল বড়, সরকার বড়, আরও জয়, আরও দায়িত্ব, আরও কাজ, কর্মযজ্ঞ চলছে । ৯৯ শতাংশ কাজ ভালো। ১ শতাংশ ভুল থাকলে ব্যবস্থা হচ্ছে এবং হবে। যে কর্মী, সমর্থক, সংগঠকরা ২০২১-এর চরম ঝুঁকির যুদ্ধে জান কবুল লড়াই দিয়েছেন, তাঁদের সম্মান, মর্যাদা, অধিকারবোধ সত্যিই স্বতন্ত্র”।