আশায় বুক বাঁধছিলেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। নিজের শেষ বিশ্বকাপে হয়তো জাত চিনিয়ে দেবেন মেসি। হয়তো নিন্দুকদের দেখিয়ে দেবেন, তিনি শুধু ক্লাব ফুটবলের রাজা নন। জাতীয় দলের জার্সি গায়েও তিনি সমান পারদর্শী। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অন্তত সমর্থকদের সেই আশা পূরণ করতে পারলেন না লিওনেল মেসি (Lionel Messi)।
বলা ভাল, প্রথম ম্যাচে সমর্থকদের ভালরকম হতাশ করলেন মেসি। হতাশ করল আর্জেন্টিনা।পেনাল্টি থেকে গোল করা ছাড়া মেসির আর তেমন উল্লেখযোগ্য অবদানও নেই এদিনের ম্যাচে। ম্যাচ হেরে স্বভাবতই হতাশ তিনি। ম্যাচ শেষে এলএম টেন বলেই দিলেন,”আমরা শেষ হয়ে গিয়েছি মনে হচ্ছে। এইভাবে শুরুটা করতে চাইনি। জিততে চেয়েছিলাম।” কিন্তু নায়কদের তো আর হতাশ হলে চলে না। ঘুরে দাঁড়াতে হয়, সতীর্থদের তাতাতে হয়। তাই পরক্ষণেই আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলে দিচ্ছেন,”এই হার অত্যন্ত বেদনার হার। কিন্তু নিজেদের একাত্মতা ধরে রাখতে হবে আমাদের। মানসিক ভাবে শান্ত থাকতে হবে। এখন মেক্সিকোকে হারানোর প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।”
এদিন আর্জেন্টিনার হারের অন্যতম কারণ বারবার অফসাইড ট্র্যাপে ফেঁসে যাওয়া। সৌদির হাই লাইন ডিফেন্সের ফাঁদে ফেঁসে জোড়া গোল খোয়াতে হয়েছে লউটারো মার্টিনেজকে। হারের ধাক্কায় তিনিও হতাশ। মার্টিনেজ বলেছেন, “আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখের দিন। আমরা ভেবেছিলাম, দারুণ একটা জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করব। কিন্তু সেটা আর হল না। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আমরা দ্রুত এই ম্যাচটা ভুলে সামনের দিকে তাকাতে চাইছি। এখন পরের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। দ্রুত নিজেদের খেলায় ফিরতে হবে।” মার্টিনেজ মেনে নিচ্ছেন, “নিজেদের ভুলেই ম্যাচটা হেরেছি আমরা। বিশেষত দ্বিতীয়ার্ধে। এই ভুলগুলি দ্রুত ঠিক করে নিতে হবে। প্রথমার্ধে আরও বেশি গোল করা উচিত ছিল আমাদের। কিন্তু কী আর করা যাবে, এটাই বিশ্বকাপ।”
এদিকে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেওয়াটা সৌদি আরবের জন্য বিশ্বজয়ের থেকে কম কিছু নয়। ম্যাচ শেষেই সৌদি সমর্থকরা স্টেডিয়ামে চেঁচিয়ে গাইছিলেন, “কোথায় মেসি, আমরা মেসিকে হারিয়ে দিয়েছি।” সাজঘরে ঢুকে সৌদির (Saudi Arabia) ফুটবলারদের নাচের ভিডিও-ও ইতিমধ্যেই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেওয়ার পর নিজেদের সাফল্যে যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না সৌদির কোচ রেনার্ডও। তিনি স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন,”আর্জেন্টিনা দুর্দান্ত দল। আজ ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল। এটাই ফুটবল। এখানে অদ্ভুদ সব কাণ্ড ঘটে যায়।”