Ukraine War: রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিপক্ষে নিন্দা প্রস্তাবে ভারত-পাকিস্তান নেই, বিশ্লেষণে BBC

বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারত কেন সরে গেল ইউক্রেনের উপর রুশ হামলার নিন্দাসূচক প্রস্তাবে?এই প্রশ্নে বিশ্ব আলোড়িত। শুধু ভারত নয়, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশ…

বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারত কেন সরে গেল ইউক্রেনের উপর রুশ হামলার নিন্দাসূচক প্রস্তাবে?এই প্রশ্নে বিশ্ব আলোড়িত। শুধু ভারত নয়, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশ ভোটদানে বিরত থেকেছে।

ইউক্রেন ঘিরে ভয়াবহ হামলা করছে রুশ সেনা। আসছে পারমানবিক হুমকি। বিষয়গুলিকে নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে বিবিসি।

বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে নিন্দা জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। প্রস্তাবের মাধ্যমে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে এবং সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে কথা বলা হয়েছে। দুদিন টানা বিতর্কের পর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। সদস্য ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৪১টি নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে পাঁচটি দেশ। ভোটদানে বিরত ছিল ৩৫টি দেশ।

বিবিসি বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, যেসব দেশ ভোট দেয়ায় বিরত ছিল তাদের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি বিশেষ আলোচিত রুশ সখ্যতার জন্য। এই দেশগুলি হচ্ছে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, চিন ও ভিয়েতনাম। এছাড়াও ভোট দানে বিরত আরব দুনিয়ার দেশগুলির মধ্যে আছে ইরাক, ইরান, কিউবা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।

রুশ হামলার জন্য নিন্দা প্রস্তাবের বিপক্ষে যে পাঁচটি দেশ ভোট দিয়েছে তারা হলো বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, ইরিট্রিয়া এবং রাশিয়া।

বিবিসি বলছে, যেসব দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে কিংবা ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল, তাদের সবার সাথে রাশিয়ার ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।

রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড ভোটাভুটির আগে বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের যে কোওনও সদস্য রাষ্ট্রের এবং আপনার দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতায় যদি আপনি বিশ্বাস করেন তাহলে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিন।” এর পরেও ভারত ভোট দানে বিরত থাকে।

রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা শুধু দখল করতে আসেনি। এটা এক ধরণের গণহত্যা। গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া পুরোদমে হামলা শুরু করেছে ইউক্রেনে। মস্কো দাবি করছে, রাষ্ট্রসংঘ সনদের ৫১ ধারা অনুযায়ী আত্মরক্ষার জন্য অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়ার সেনা।