Pakistan: “বিরোধীরা দেশকে বিক্রি করছে”, পদত্যাগের জল্পনা উড়িয়ে দাবি ইমরানের

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পদত্যাগের কোনও পরিকল্পনা তাঁর নেই। তিনি শেষ অবধি লড়াই করবেন। তবে তিনি সরকারের পতনের জন্য বিদেশী ষড়যন্ত্রের দিকে…

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পদত্যাগের কোনও পরিকল্পনা তাঁর নেই। তিনি শেষ অবধি লড়াই করবেন। তবে তিনি সরকারের পতনের জন্য বিদেশী ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার আগে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন ইমরান। সেখানেই তিনি এই অভিযোগ তুলেছেন।

ইমরান বলেছেন, “একজন ক্রিকেটার হিসেবেও আমি সব সময় শেষ বল পর্যন্ত খেলেছি। এবং আমি এখন সেটাই করতে চাই।” গুরুত্বপূর্ণ মিত্র শক্তিদের দলত্যাগের সাথে সংসদে তাঁরা সংখ্যালঘুতে এলেও, ইমরান খান এখনই পদত্যাগ করছেন না। রবিবার যে পাকিস্তানের ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে, তা চূড়ান্ত করেছেন তিনি। বলেছেন, “আমি চাই আমার দেশ তাদের মুখ দেখুক যারা বিবেক বিক্রি করেছে।” এই প্রসঙ্গে ঘোড়া কেনাবেচারও অভিযোগ তুলেছেন ইমরান।

   

৬৯ বছর বয়সী পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবকে “বিদেশী ষড়যন্ত্র” বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, “আমরা কিছু বিদেশী দেশ থেকে জানতে পেরেছি যে তারা রাগান্বিত। কিন্তু ইমরান খান চলে গেলে তা পাকিস্তানকে ক্ষমা করতে ইচ্ছুক।” এই হুমকির জন্য তিনি আমেরিকার নাম করেছেন।

তিনি এদিন বক্তৃতায় এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে কাশ্মীর ইস্যুটি উত্থাপন করেন। বলেন, “আমি কেবল একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি চাই। ভারত-বিরোধী নয়, ইউরোপ-বিরোধী নয়, মার্কিন-বিরোধী নয়। কিন্তু স্বাধীন।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “নয়াদিল্লি ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করার পরেই আমি কাশ্মীর ইস্যুটি উত্থাপন করেছি।” প্রসঙ্গত জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারত তার অবস্থানে অনড়। ভারত পাকিস্তানকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কাশ্মীর দেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

৩৪২ সদস্যের বিধানসভায় ইমরান খানের ১৭২ ভোট প্রয়োজন। তাহলে সরকার পতনের জন্য বিরোধীদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে পারবেন তিনি। বিরোধী দল অবশ্য ১৭৫ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন দাবি করেছে এবং বলেছে যে প্রধানমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। ইমরান খান পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হবেন যিনি রবিবার তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হবেন। তিনি এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেননি।