পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) নতুন “প্রধান” নির্বাচিত হলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের আঞ্চলিক সভাপতি সর্দার তানভির ইলিয়াস। সোমবার বিরোধীদের দ্বারা বয়কট করা একটি নির্বাচনে এই ফলাফল ঘোষিত হয়। সর্দার আবদুল কাইয়ুম নিয়াজি পদত্যাগ করার পর ইলিয়াসকে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়। অন্যদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (PPP) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (PML-N) যৌথভাবে চৌধুরী ইয়াসিনকে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়েছে।
এদিন ইলিয়াসের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী না থাকায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের অধিবেশন বয়কট করে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দল। ডন পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, পিটিআই নেতা তাঁর পক্ষে ৩৩টি ভোট পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর দলের ২৫ জন সংসদ সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করার পর নিয়াজি পদত্যাগ করেন। পিটিআই ৫৩ সদস্যের হাউসে ৩২টি আসন পাওয়ার পর নিয়াজি গত বছর ক্ষমতায় আসেন। ইমরান খান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার কয়েকদিন পরেই আরও এক বদল পাকিস্তানের রাজনীতিতে।
তবে ভারত PoK-তে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে বিষয়টি পাকিস্তানের “অবৈধ দখলকে ছদ্মবেশী করার” প্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। PoK-তে নির্বাচনের বিষয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন যে, পাকিস্তানের এই ভারতীয় অঞ্চলগুলিতে কোনও অধিকার নেই। তাদের অবশ্যই অবৈধভাবে দখল করে রাখা সমস্ত ভারতীয় এলাকা খালি করতে হবে। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের অবৈধ দখলের অধীনে ভারতীয় ভূখণ্ডে তথাকথিত নির্বাচনগুলি পাকিস্তানের অবৈধ দখলকে ছদ্মবেশ দেওয়ার চেষ্টা। এই ধরনের মহড়া পাকিস্তানের অবৈধ দখলদারিত্বকে লুকিয়ে রাখতে পারে না বা এই অধিকৃত অঞ্চলে মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন, শোষণ এবং স্বাধীনতা অস্বীকার করতে পারে না।”