Khalistani: ইন্দিরা গান্ধী হত্যার উল্লাসধ্বনি দিয়ে শিব-বিষ্ণু মন্দির ভাঙল খালিস্তানিরা

পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগের। রাস্তায় চলছে উগ্র শিখ খালিস্তানিদের (Khalistani) মিছিল। সেই মিছিল থেকে ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার সমর্থনে উল্লাসধ্বনি চলছে।

hindu-temple-vandalised-in-australia-by-khalistani-supporters

পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগের। রাস্তায় চলছে উগ্র শিখ খালিস্তানিদের (Khalistani) মিছিল। সেই মিছিল থেকে ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার সমর্থনে উল্লাসধ্বনি চলছে। হাজার হাজার উগ্র খালিস্তানিদের কেন মিছিল করার অনুমতি দিল অস্ট্রেলিয়া সরকার তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক। খালিস্তানি সংগঠনগুলিকে ভারত সরকার জঙ্গি তালিকায় রেখেছে। এবার খালিস্তানিদের হামলায় শিব মন্দির ধংস করা হলো। অস্ট্রেলিয়ার স্খানীয় সংবাদমাধ্যমে এসেছে এই স্পর্শকাতর ইস্যুটি।

জানা যাচ্ছে, ভিক্টোরিয়ায় একটি শিব মন্দিরে হামলা চলায় উগ্র শিখ খালিস্তানপন্থীরা। এই মন্দিরে চলছিল সংক্রান্তি উপলক্ষে পোঙ্গল উৎসব। তখনই হামলা হয়। মন্দিরটিতে তামিল ভাষাভাষীরা বেশি আসেন। তাঁদের অভিযোগ, খালিস্তান স্লোগান দিয়ে হামলা চালানো হয়। আমরা আতঙ্কিত।

উগ্র খালিস্তানি সমর্থকদের বিশাল মিছিলে অস্ট্রেলিয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। হাজার হাজার খালিস্তানি সমর্থকদের মিছিল থেকে ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার উল্লাস জানানো হয়। তাৎপর্যপূর্ণ, অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ ও সরকারের কড়া নজরদারির মাঝে ভারত বিরোধী খালিস্তানপন্থীরা শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই মিছিলে অংশ নেয়। পরিস্থিতি এমনই অস্ট্রেলিয়ায়। কেন দেশটির সরকার নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী সংগঠনকে প্রকাশ্যে মিছিল করার অনুমতি দিল তা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। 

ভারত সরকারের খাতায় খালিস্তানপন্থী সংগঠন জঙ্গি তালিকাভুক্ত। ইন্দিরা হত্যা ছাড়াও একাধিক নাশকতায় জড়িত খালিস্তানি জঙ্গিরা। শিখ সাম্রাজ্যের বিস্তার যে এলাকায় ঘটেছিল সেই অঞ্চল এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পড়ে। আর কিছু অংশ আফগানিস্তানে। এই অঞ্চল নিয়েই পৃথক খালিস্তান গঠনের জন্য পাক সামরিক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই মদতে তৈরি হয় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তান আন্দোলন।

খালিস্তানিদের জঙ্গিদের হাত থেকে শিখ ধর্মস্থান মুক্ত করতে সেনা অভিযানের নির্দেশ দেন ততকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এরপর তাঁকে খুন করা হয়। খুনি দেহরক্ষীদের ফাঁসি হয়। এবার সেই দুই খালিস্তানিকে বীরের মর্যাদা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বিশাল মিছিল হলো। খালিস্তানপন্থীদের দাবি, আগামী ২৯ জানুয়ারি হবে সমাবেশ। এই সমাবেশ উপলক্ষে মিছিল হয়েছে। মিছিল থেকে শেষ যুদ্ধ শুরুর ডাক দেওয়া হয়।