এসএসসি দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই আচার্য ইস্যু: রাজ্যপাল

প্রতিক্রিয়া এলো। প্রত্যাশিতভাবেই রাজ্যপাল ক্ষোভ দেখালেন। তিনি বলেছেন এসএসসি দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই রাজ্য সরকার আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর ইস্যু তৈরি করছে।   বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য…

jagdeep dhankar

প্রতিক্রিয়া এলো। প্রত্যাশিতভাবেই রাজ্যপাল ক্ষোভ দেখালেন। তিনি বলেছেন এসএসসি দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই রাজ্য সরকার আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর ইস্যু তৈরি করছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরাতে চায় রাজ্য সরকার। এবিষয়ে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছে।বিল আনতে চলেছে সরকার।

এই বিল নিয়ম মাফিক আইনে পরিনত করতে হলে বিধানসভায় পাশ করাতে হবে। সংখ্যাধিক্যের জেরে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সেটি করাবে। পরবর্তী পদক্ষেপ, রাজ্যপালের সই। তিনি সই না করলে সরকার বিশেষ বলে বিলটি আইনে রূপান্তরিত করবে।

ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের ভূমিকা শূন্য হয়ে যাচ্ছে। পদাধিকার বলে মুখ্যমন্ত্রী আচার্য হয়ে সমাবর্তনে অংশ নেবেন। তিনিই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসনিক সর্ব শীর্ষ ক্ষমতার অধিকারী হবেন।

আচার্য পদ ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রবিবার শিলিগুড়িতে তিনি বলেন, এসএসসি দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যপালের অধিকার খর্ব করার বিষয়ে নথি এলে আমি দেখব। সরকার কি বলছে তাতে আমি ভাবিত নই।

তিনি বলেন, যদি রাজ্যপালের অধিকার খর্ব করার বিষয়ে কোনও নথি আমার কাছে আসে তাহলে তাহলে সাংবিধানিক রীতি মেনে আমার যা করার আমি তাই করব।

বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভায় সেই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এবার বিধানসভায় বিল আনতে চলেছে সরকার। তখন থেকেই রাজ্য এবং রাজ্যপালের মধ্যে ফের সংঘাত বাড়তে শুরু করেছে।

নবান্ন সূত্রে খবর, বেসরকারি কলেজগুলির ভিজিটর পদ থেকে এবার রাজ্যপালকে সরিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।