Bangladesh: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পিতার নামে বাংলাদেশে আসে বিদ্যুৎ বিল

দেশ পাল্টে গিয়েছে তবে পাল্টায়নি বিদ্যুত বিলে লেখা নাম! ভারত থেকে পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ, তিনটি দেশের কাঠামোয় রূপান্তরিত হওয়ার মাঝে সাতটি দশক পার হয়েছে। এই…

দেশ পাল্টে গিয়েছে তবে পাল্টায়নি বিদ্যুত বিলে লেখা নাম! ভারত থেকে পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ, তিনটি দেশের কাঠামোয় রূপান্তরিত হওয়ার মাঝে সাতটি দশক পার হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বন্ধুত্বের খাতিরে বাংলাদেশের (Bangladesh) এক পরিবার ধরে রেখেছেন ভারতের ত্রিপুরার সদ্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ডা.মানিক সাহার পিতার নামে আসা বিদ্যুত বিল!

রাজনৈতিক ডামাডোলে ত্রিপুরায় বিজেপি জোট সরকার তাদের মুখ্যমন্ত্রী বদল করেছে। বিপ্লব দেব কে সরিয়ে তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে ডা. মানিক সাহাকে।

   

ডা. মানিক সাহার আদি বাড়ি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কাজীপাড়ায়। এখানেই তিনি বেশ কিছু সময় কাটিয়েছিলেন। তবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পিতা প্রয়াত মাখনলাল সাহার যে বাড়ি ছিল সেটিতে এখনও তাঁর নামেই বিদ্যুতের বিল আসে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজীপাড়ায় যে বাড়িতে এমন বিল আসে তার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম মালদার। তিনি জানিয়েছেন, আমার বাবা নুর মিঞা মালদার ইন্তেকাল ইন্তেকাল(প্রয়াণ) করার আগে বলেছিলেন এই বাড়ির বিদ্যুতের বিলে যেন মাখনলাল সাহার নাম থাকে। বাবার নির্দেশ মেনে বিদ্যুতের বিলে নাম পাল্টাইনি আমরা।

বাবার নামে এখনও বিদ্যুতের বিল আসে বাংলাদেশে! শুনে আশ্চর্য হয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহা। তিনি জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই বাড়িটার কথা খুব মনে পড়ে। ওনারা যে এখনও বাবার নাম বিদ্যুতের বিলে রেখে দিয়েছেন তাতে ওনাদের ধন্যবাদ জানাই।

Advertisements

আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজীপাড়ার বাসিন্দা শরিফুল মালদার বলেছেন, বাবা আগরতলায় থাকতেন। তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিল ত্রিপুরার অংশ। এই কাজীপাড়ার বাসিন্দা মাখনলাল সাহার সঙ্গে বাবার বন্ধুত্ব হয়েছিল। পরে দুই বন্ধু দুই দেশের নাগরিকত্ব নেন। আমার বাবা নুর মিঞার সঙ্গে জায়গা বিনিময় করে ত্রিপুরায় চলে যান মাখন কাকা।

শরিফুল মালদার জানিয়েছেন, শুনছি মাখন কাকার ছেলে মানিক সাহা ত্রিপুরার মু়খ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আশা করি তিনি একবার আসবেন।

তিনি আরও জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাক সেনার হামলা হয়েছিল। পাক সেনা আমাদের বাড়ির অনেককিছু লুঠ করে। তারমধ্যে মাখন কাকার কিছু জিনিষ ছিল।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেছেন, ওই বাড়ি ওখানকার বিখ্যাত মিষ্টি সবই স্মৃতিতে রয়েছে। খুব ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে কয়েকবার গেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, দেশভাগের পর মাখনলাল সাহা ত্রিপুরায় চলে গেলেও দুর্গাপুজোর সময় পৈত্রিক বসতে একবার আসতেন।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News