Election : অ-বিজেপিরাই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের মাটি শক্ত করছে

পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন (Election) আসন্ন। তার আগে প্রত্যেক দল নিজেদের ঘুৃঁটি সাজিয়ে নিচ্ছে শেষবারের মতো। রাজনীতির দাবায় সাদা-কালো উর্দিধারীদের মুখ থাকে আড়ালে। বোঝা দায় কে…

Election

পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন (Election) আসন্ন। তার আগে প্রত্যেক দল নিজেদের ঘুৃঁটি সাজিয়ে নিচ্ছে শেষবারের মতো। রাজনীতির দাবায় সাদা-কালো উর্দিধারীদের মুখ থাকে আড়ালে। বোঝা দায় কে কোন দিকে৷

নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তায় এখন ভাটার টান। বেসরকারি কিছু সংস্থার সমীক্ষায় এমন ইঙ্গিত মিলেছে বহুবার। তবুও বুক ফুলিয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যু থাকা সত্বেও দুর্বার মনোভাব দেখাচ্ছে তারা। কিছু ক্ষেত্রে পিছু হটেছে রাজা৷ কিন্তু ঘোড়ার দৌড় বোঝে কার সাধ্যি। আড়াঁই প্যাঁচের কৌশল জানা রয়েছে অনেক দুঁদে রাজনীতিবিদের৷

বিহার নির্বাচনের সময় সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তেজস্বী যাদব। কোণঠাসা বিজেপি। তবুও তারাই সরকার গড়ার অন্যতম কারিগর। এর পিছনে রাজনৈতিক মহলের একাংশ দেখেছিলেন আসাদউদ্দিন ওয়েসির ভূমিকা। ‘ভোট কাটুয়া’, ‘বিজেপির দালাল’ ইত্যাদি কিছু তকমাও পেয়েছিলেন তিনি। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে চিড় ধরিয়ে কি বিজেপির সুবিধা করে দিয়েছিকেন ওয়েসি, এই প্রশ্ন হয়তো থেকেই যাবে ধাঁধার মতো।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে একলা লড়েছিল তৃণমূল। আলাদা করে জোট গড়েছিল বাম, কংগ্রেস। সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান স্যেকুলার ফ্রন্ট। তৃণমূল একক গরিষ্ঠতা না পেলে উঠতে পারত অন্য প্রশ্ন।

প্রত্যেক দলের এখন একটাই ইউএসপি- দেশ বাঁচাও। দেশকে রক্ষা করার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। তার জন্য কোনো দল আদৌ কি প্রস্তুত, মনে ধন্দ লাগতে পারে।

আসন্ন নির্বাচনগুলোর মধ্যে অন্যতম উত্তর প্রদেশ। ‘২৪-এর নির্বাচনের ট্রেন্ড বুঝতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের চোখ ইউপিতে। সেখানে একের পর এক চমক দিয়ে চলেছেন মায়াবতী। একলা চলার নীতি নিয়েছিলেন প্রথমে। দিন কয়েক আগে মত বদলে জানালেন অখিলেশ যাদবকে সমর্থন জানাবে বহুজন সমাজ পার্টি। এরপর জানা গেল মায়াবতী নিজে ভোটে লড়বেনই না! প্রবল প্রতিপক্ষ বিজেপির বিরুদ্ধদ সম্মুখ সমরে যেতে চাইছেন না মায়াবতী৷ তিনি মেঘনাদ হতে পারলে ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাস মনে রাখবে তাঁকে।

গোয়ায় কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি এখনও শক্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে একাই ভোটের ময়দানে নামতে চাইছে কংগ্রেস। তৃণমূলও গিয়েছে সেখানে। জোট করেছে স্থানীয় একটি দলের সঙ্গে। ‘বন্ধু’ কংগ্রেসের ঘর ভাঙা, বাক্যবাণ শানানো, কোনোটাই বাকি রাখেনি ঘাস-ফুল৷ শরদ পাওয়ার দাবি করেছেন, এনসিপি, তৃণমূল এবং কংগ্রেস একসঙ্গে জোট করতে পারে বিজেপির বিরুদ্ধে। কং পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে এই সম্ভাবনা।

আসন্ন নির্বাচনগুলো আসার আগে অ-বিজেপি অনেক দল আলোচনায় রয়েছে৷ বিজেপিও রয়েছে। গেরুয়া শিবির সত্যি কি অজেয়, নাকি নিজ-স্বার্থে তাদের সুবিধা করে দিচ্ছে একাংশ- ‘সবার ওপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই’।