ঘন কালো মেঘ কখনও মেঘ ভাঙা রোদ্দুর, কখনও রিমঝিম ঘন ঘন রে, কখনও বহু কাঙ্ক্ষিত রোদ্দুরের সাত দিনেও দেখা মেলে না। সব মিলিয়ে বর্ষাকাল (Rainy) আমাদের কাছে আসে নানা রঙ নিয়ে। তবে ভাল লাগা, রোম্যান্টিসিজমের সঙ্গে সঙ্গে বর্ষায় নানা উটকো ঝঞ্ঝাটের অন্যতম ওয়াল ড্যাম্প। নিন কীভাবে মোকাবিলা করবেন বিরক্তিকর এই সমস্যার।
কীভাবে বুঝবেন দেওয়ালে ড্যাম্প
- দেওয়ালে ছোপ ছোপ দাগ, যা দেওয়ালকে করে তুলবে বিবর্ণ।
- জায়গায় জায়গায় দেওয়ালের উপরিভাগ ফেঁপে ওঠা এবং ঝরে পড়া।
ঘরে ভ্যাপসা গন্ধ। - মোটামুটি এই লক্ষণগুলিই চিনিয়ে দেবে আপনার বাড়িতে ড্যাম্প আছে কিনা, আর এ এমন এক শত্রু, যা আপনার স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করবে। তাই বাড়িকে ড্যাম্প মুক্ত করে তোলা প্রয়োজন। তারে জন্য কয়েকটি মেনে চলুন সাধারণ নিয়ম।
বাড়ি তৈরির সময় সজাগ থাকুন বিল্ডিং মেটিরিয়ালের ব্যাপারে। ড্যাম্পের মুখ্য কারণ এগুলিই। সম্ভব হলে আপনার বাড়িটি কোনও নির্ভরযোগ্য ‘ড্যাম্প প্রুফিং স্পেশালিস্ট’-কে দেখিয়ে নিন।
- বাজারে ‘ড্যাম্প ডিটেক্টর’ –ও পাওয়া যায়, যার সাহায্যে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বাড়ি ড্যাম্প আক্রান্ত কিনা।
- বাড়ির বাইরে দেওয়ালের পাইপগুলো মাঝেমাঝেই পরীক্ষা করে নিন তাতে কোনও ফাটল দেখা দিয়েছে কিনা।
- পাইপে ফাটল পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে নিন জলের যাতায়াত কোনও ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে না তো?
বাড়ির ছাদের সঠিক দেখভাল জরুরি। ছাদ যদি হয় কমজোরি, বা তাতে যদি থেকে থাকে কোনও ফুটো-ফাটা, তাহলে অবধারিত ভাবে আপনার বাড়ি ড্যাম্পের শিকার হবেই হবে। - রান্নাঘর ও বাথরুমে এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন। এতে দেওয়াল থাকবে শুকনো ও ঝরঝরে।
- অতিরিক্ত স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বিশেষত বর্ষাকালে ঘরে ছোট হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
- এতে আপনার ঘরের অতিরিক্ত আর্দ্রতা চলে গিয়ে ঘর থাকবে শুকনো।
- ঘরের আসবাবপত্র এমনভাবে রাখুন যাতে হাওয়া চলাচলের যথেষ্ট সুযোগ থাকে।
- যদি ঘরের ভেতর কাপড় শুকোতে বাধ্য হন তাহলে কখনোই দরজা-জানলা বন্ধ রেখে কাপড় শুকোবেন না।
- ঘুলঘুলি যেন কখনই ঢাকা না পড়ে যায়।