লকডাউনে যেমন স্তব্ধ হয়েছিল পুরো দুনিয়া। তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে শ্রীলঙ্কায়। তীব্র আর্থিক সংকটের (Sri Lanka Crisis) মধ্যে যাও বা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে সরকার ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সেটিও পুরোপুরি বন্ধ হতে চলেছে। শ্রীলংকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের আশঙ্কা শাটডাউন হতে চলেছে দেশে।
তিনি বলেন, একটি স্থিতিশীল সরকার না তৈরি হলে অচিরেই দেশে শাটডাউন হবে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সংকট কাটাতে দরকার একটি স্থিতিশীল সরকার। এটি না থাকলে সাহায্য আসবে না। বৈদেশিক মুদ্রা না থাকলে প্রয়োজনীয় পেট্রোলিয়াম কেনা যাবে না। সঞ্চয় একমদম তলানিতে এরপর শাটডাউন হতে চলেছে।
শাটডাউন অর্থাৎ, কোনও কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়া। তবে কোনও রাষ্ট্র শাটডাউনের অর্থ দেশটির সরকারি কর্মকাণ্ডে অচলাচস্থা। অর্থাৎ জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব বন্ধ হয়ে যাওয়া। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, শ্রীলংকার পরিস্থিতি যেমন তাতে শাটডাউন হলে জরুরি পরিষেবাও মিলবে না।
বিবিসি জানাচ্ছে, তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কা। এর জেরে গণবিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে পদত্যাগ করেছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। পরপর প্রধানমন্ত্রী পাল্টেছে। শেষপর্যন্ত কার্যকরী প্রেসিডেন্ট হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদেও আছেন। বিক্ষোভের মুখে কোনওরকমে জীবন বাঁচিয়ে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। আগামী সাত দিনের মধ্যে শ্রীলংকায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে বলে জানান, দেশটির সংসদ অধ্যক্ষ।