গত বিধানসভা নির্বাচনের পর জেলায় জেলায় ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। আলগা সংগঠনের পরিবর্তে শাসক দলের চোখ রাঙানিকেই দোষারোপ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার কেশিয়ারি থেকে কর্মীদের কঠিন শব্দে আরও একবার উজ্জীবিত করলেন তিনি৷ শুভেন্দুর রণহুঙ্কারে রাজনৈতিক মহলে তুমুল শোরগোল পড়ে গেছে।
এদিন শুভেন্দু বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রয়োজনে আনলাইন মনোনয়নের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হব। পুরভোটে আধাসেনা পাইনি। এবারেও দাবী করব। না পেলে ভোট বাক্স তুলে পুকুরে ফেলে দিন৷ কেন একথা বললেন শুভেন্দু? রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যের একাধিক নির্বাচনে বিজেপির ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জঙ্গলমহলে ধীরে ধীরে বামেদের অস্তিত্ব ফিরতে শুরু করেছে। এমত অবস্থায় দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতেই এই বার্তা দিলেন তিনি।
সেইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে পিছপা হননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর কথায়, কাটমানি মুক্ত জনগণের পরিষেবা, ঘুষমুক্ত চাকরি এবং রাজনীতিমুক্ত পুলিশ আমরা চাই। আমাদের রাজ্যে পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করা হয় তা অন্য কোথাও করা হয় না। আমাকে নেতাই যেতে দেয়নি। ওইদিন ৪ হাজার পুলিশ এনে ব্যারিকেড করেছিল। আমার তৈরি শহীদ বেদীতে ফুল দিতে দেয়নি৷
তাঁর সংযোজন, এদের একটা কাজ হচ্ছে পিসি এলে সাত হাজার। ভাইপো এলে ৪ হাজার। বিরাট ব্যাপার যেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন এসেছেন। পাঁচখান্স বুলেটপ্রুফ গাড়ি যায়। সামনে পিছনে তো অসংখ্য৷ লজ্জা লাগে এই পুলিশগুলোকে দেখলে। অ্যাডিশনাল র্যাঙ্কের অফিসার, ডিএসপি র্যাঙ্কের অফিসার দড়ি ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। দাঁত ক্যালিয়ে সেলুট করে৷