Rathayatra: পুরীতেই নয়, পশ্চিমবঙ্গেও রয়েছে বিখ্যাত রথযাত্রা

রাত পোহালেই কাল জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা (Rathayatra) আর কিছুদিন পরেই। জগন্নাথ নিজের দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে রথে সওয়ার হয়ে যাবেন মাসি বাড়ি। সেখানে…

west-bengal rathyatra

রাত পোহালেই কাল জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা (Rathayatra) আর কিছুদিন পরেই। জগন্নাথ নিজের দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে রথে সওয়ার হয়ে যাবেন মাসি বাড়ি। সেখানে ৭ দিন কাটিয়ে তারপর ফিরবেন। দাদা- বোনকে সঙ্গে নিয়ে জগন্নাথ দেবের এই রথযাত্রা বিশ্ববিখ্যাত। প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথ যাত্রা পালন করা হয়। রথযাত্রা উৎসবে পুরী সেজে ওঠে। নানান জায়গা থেকে ভক্তগণ এসে ভিড় করেন। তবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা বিশ্ব বন্দিত হলেও আমাদের পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি স্থানের রথযাত্রা প্রসিদ্ধ এবং সেই সঙ্গে এঁদের নিজস্ব মাহাত্ম্যও রয়েছে।

মায়াপুর: নদীয়া জেলার মায়াপুরে ইস্কন মন্দিরের রথযাত্রা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিখ্যাত রথ উৎসব। এখানে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রথে চড়ে আসেন। লোককথা অনুসারে মায়াপুর ও তার পার্শ্ববর্তী একটি গ্রাম ছিল রাজাপুর। প্রায় ৫০০ বছর আগে এক পুরোহিত স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নটি হল, রাজাপুর থেকে মায়াপুরে প্রস্থান করবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তারপর সেখান থেকে রথে চড়ে ফিরে আসবেন তাঁরা। এই প্রথা অনুযায়ী প্রতিবছর মায়াপুর ও রাজাপুর গ্রামে রথ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।

   

মাহেশ: মাহেশের রথ যাত্রার নাম রথ প্রসিদ্ধ রথ যাত্রার তালিকায় থাকবেই। শোনা যায়, ১৩০০ খ্রিস্টাব্দে ধ্রুবনন্দ ব্রহ্মচারী রথ উৎসবের সূচনা করেছিলেন এখানে। মাহেশের রথযাত্রার ইতিহাস প্রায় ৬০০ বছর পুরনো। মাহেশের রথযাত্রার সময় বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়।

গুপ্তিপাড়া: গুপ্তিপাড়ায় এই রথ উৎসবের সূচনা করেন মধুসূদানন্দ ১৭৪০ সালে। রথযাত্রার দিনে প্রায় ৪০ কিলো খাবার লুটিয়ে দেওয়া হয়। বহুকাল ধরে জনগণের উদ্দেশে খাবার লুটানোর প্রথাটি প্রচলিত রয়েছে। ১৮৭৩ সালের আগে গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দির থেকে ১২ চাকার রথ বের হত।

রাজবলহাট: হুগলির রাজবলহাট শুধুমাত্র তাঁতের কাপড়ের জন্য নয়, রথযাত্রার জন্যও বিখ্যাত। রাজবলহাটের রথে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মূর্তি থাকে না। এখানে রাধাকৃষ্ণ রথে সওয়ার হয়ে বের হন।

মহিষাদল: মাহেশের মতোই পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথযাত্রাও বিখ্যাত। এই রথযাত্রার ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। ১৭৭৬ সালে মহিষাদলের জমিদার আনন্দলালের স্ত্রী জানকী দেবী এখানে রথযাত্রার সূচনা করেন।

আমোদপুর: বর্ধমানের মেমারির আমোদপুরের রথযাত্রাও বিখ্যাত। এই গ্রামের জমিদার পরিবারের দেবতা রাধামাধব। এখানে প্রতি বছর ধুমধাম করে রথ যাত্রার আয়োজন করে আমোদপুরের জমিদারবাড়ি।