করুণাময়ীতে অনশনরত চাকরি প্রার্থীদের জোর করে তুলে দেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক মহল সরগরম। মমতা সরকারের তীব্র সমালোচনা চলছে। টেট চাকরি প্রার্থীদের সমর্থনে সিপিআইএম ছাত্র-যুব সংগঠনের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধের জেরে আরও বিতর্কিত পরিস্থিতি হয়েছে। এই আবহে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) নিজের দলকে বার্তা দিলেন সিপিআইএমের কাছে আন্দোলন শেখার জন্য।
দিলীপ ঘোষ বলেন, বামেরা চিরদিন বিরোধিতা ভালো করতে পারে। আন্দোলন করতে পারে, সরকার চালাতে পারে না। বামেরা উন্নয়ন করতে পারেনি তাই লোকে বিসর্জন দিয়েছে।
তিনি বলেন, তারা আন্দোলন করবে সেটা দেখে বাংলার মানুষের ধারণা হয়ে গিয়েছে, ওটাই ওদের ভালো কাজ। যে ধরনের অমানবিক ব্যবহার করা হয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের অধিকারকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে, সবাই তার বিরোধিতা করছে।
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিজ দলের দিকেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চাকরি প্রার্থীদের জন্য বিরোধী দল বিজেপির আন্দোলনে ঝাঁঝ নেই। সেটা ইঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
তবে চাকরি প্রার্থীদের হয়ে মহিলা মোর্চা নেত্রী ও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে সামনে রেখে বিজেপি পথে নেমেছিল। সেই মিছিল থেকে ধরপাকড় হয়। পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু সিপিআইএমের যুব সংগঠনের নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জির নেতৃত্ব পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও পরে থানা ঘেরাও হয়। জেলায় জেলায় প্রতিবাদ মি়ছিল শুরু করেছে সিপিআইএম।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিধানসভায় শূন্য হয়েছে এ রাজ্যে সাড়ে তিন দশক টানা সরকারে থাকা সিপিআইএম সহ বামদলগুলি। এর পর থেকে রাজনৈতিক মহলে বামেদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল৷ ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে সিপিআইএম গুরুত্ব দেয় ছাত্র যুব সংগঠনে। সেই নীতিকে কাজে লাগিয়ে বিধানসভা ভোট পরবর্রী সব নির্বাচনেই বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে সিপিআইএম।
দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সরকার বিরেধিতায় বাম শিবির আন্দোলনের মাধ্যমে চাঙ্গা হলেও বিরোধী দল বিজেপির ছন্নছাড়া মনোভাব নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা ক্ষুব্ধ। ক্রমাগত বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি সুর চড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যাকফুটে বিরোধী দল৷ ধারণা করা হচ্ছে, মীনাক্ষীদের পিঠ চাপড়ে দলকেই বিশেষ বার্তা দিলেন দিলীপ ঘোষ।