CPIM: বঙ্গে শূন্য সিপিআইএমের সর্বভারতীয় যুব সম্মেলন কিন্তু সংগঠন আলগা

সম্মেলনের মাধ্যমে ঝাঁঝ ধরে রাখলেও এখনও সংগঠন আলগা বামফ্রন্টের তথা সিপিআইএমের। তবে বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হয়ে ভোট খরা ছিল তা কিছুটা উপনির্বাচনে কাটিয়ে উঠতে পেরেছে…

সম্মেলনের মাধ্যমে ঝাঁঝ ধরে রাখলেও এখনও সংগঠন আলগা বামফ্রন্টের তথা সিপিআইএমের। তবে বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হয়ে ভোট খরা ছিল তা কিছুটা উপনির্বাচনে কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বামফ্রন্ট। উপনির্বাচন এবং পুর নির্বাচনে বিরোধী দল বিজেপির উপরে এসে ভোটের নিরিখে দ্বিতীয় শক্তি সিপিআইএম।

বিশ্লেষণে আসছে, অনেকটাই কামব্যাক করেছে বামেদের ভোট। এই অবস্থায় আক্রমণের তীব্রতা বাড়াতে মরিয়া সিপিআইএম। দলীয় সংগঠনের ভিত হিসেবে পরিচিত ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলন চলবে কলকাতায়। ডিওয়াইএফআইয়ের সম্মেলনে উদ্দেশ্যে সারা দেশের কাছে বাংলার ছবি তুলে ধরা। সম্মেলনে ঝাঁঝ আছে। তবে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যে সিপিআইএমের দলীয় সংগঠন নিয়ে।

রাজ্য সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ার পর সংগঠনকে মজবুত করাই মহম্মদ সেলিমের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেইমতো রাজ্যজুড়ে টিকে থাকা সমর্থকদের নিয়েই মাঠে নেমে পড়েছেন। রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়া কর্মীদের ফেরানোই বড় চ্যালেঞ্জ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তা না করতে পারলে আরও বিপদ বাড়তে পারে। এই দৃষ্টিকোন থেকে নেমেছেন সেলিম।

আর সিপিআইএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি নেমেছেন যুবদের নিয়ে। সংগঠনের সম্মেলন থেকে তিনি কী বার্তা দেন তাও রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে।

তবে গত পাঁচ বছরে উত্তরবঙ্গে বিজেপি সংগঠন বাড়তেই একেবারে আলগা হয়ে পড়ে সিপআইএমের সংগঠন। কিন্তু পরপর উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ে বিরোধী দলে নেমেছে ধস। তুলনায় অনেক সংঘটিত সিপিআইএম। উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গের যে সমস্ত জেলা বামেদের দূর্গ ছিল সেখানকার সংগছন পুনুরুদ্ধার নিয়ে চর্চা চলছে।

সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও যুব নেত্রী মীনাক্ষী কেউই উত্তরবঙ্গের নন। বাম আমলে উত্তরবঙ্গ থেকে অশোক ভট্টাচার্য ছিলেন। শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লকের কমল গুহ ছিলেন। পরে তাঁর পুত্র উদয়ন গুহ। এখন উদয়ন তৃণমূল কংগ্রেসে।

গত লোকসভা ভোটে রাজ্যে সিপিআইএম হয়েছিল সাংসদ শূন্য। আর বিধানসভা ভোটে হয় বিধায়ক শূন্য। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে যে লড়াই ছিল তা এখন অতীত বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষণে আসছে।

বৃহস্পতিবার যুব সংগঠনের উদ্বোধন উপলক্ষে সিপিআইএম সর্বভারতীয় সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য কেন্দ্র সরকারকে (বদলে দেওয়া ছাড়া কোনও পথ নেই। বাংলায় বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। এ রামনবমী করে, তো ও রামনবমী করে। এ হনুমান জয়ন্তী করে, তো ও-ও তা-ই করে! এ দল ভাঙায়, ও-ও দল ভাঙায়! এই প্রতিযোগিতা করে বিজেপিকে রোখা যাবে না। সরাসরি সংঘাত চাই। যুব সংগঠন হিসেবে ডিওয়াইএফআই-কে সেই কাজ করতে হবে। তারা সেই ক্ষমতা রাখে।

যুব নেতাদের বক্তব্যে উঠে আসে আনিস খান এবং মইদুল মিদ্যাদের প্রসঙ্গ। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য রাজ্যে আন্দোলনের পরিবেশ রয়েছে। আন্দোলন এবং সংগঠন গড়ে তুলে কাজে লাগাতে হবে।