বিধানসভা নির্বাচনে শূণ্য হাতে ফিরতে হয়েছে বামফ্রন্টকে৷ ব্রিগেডের জমায়েতে লক্ষ লক্ষ সমর্থক এলেও বিধানসভা ভরাতে পারেনি সিপিআইএম (CPIM) ।কিন্তু পুরসভা এবং উপনির্বাচনে কিছুটা সাফল্য এসেছে। বিরোধী দল বিজেপির থেকে উপরে বামেরা।
পুর-ফলাফলের ট্রেন্ড ধরে রাখতে এখন থেকে বড় কর্মসূচি স্থির করল সিপিআইএম। দলীয় নির্দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সরব হবেন দলের কর্মীরা। মে মাস থেকেই শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি। জুন মাস জুড়ে জেলায় জেলায় চলবে এই বিশেষ কর্মসূচি৷
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায়, দলীয় নেতা কর্মী যারা বসে গেছে, সরে গেছে তাঁদেরকে আবার ফিরিয়ে আনাটাই প্রধান লক্ষ্য৷
বিধানসভা নির্বাচনের সময় আইএসএফ এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল সিপআইএম৷ জোট পেয়েছে গোল্লা। গোহারা হারের পর রাজ্যে যতগুলি উপনির্বাচন ও পুর ভোট হয়েছে তাতে ফের সিপিআইএম চাঙ্গা। বিরোধী দল বিজেপি যে এখন তৃতীয়স্থানে তা স্বীকার করেছেন দলটির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
অন্যদিকে বামফ্রন্ট শিবির পুরভোটে সাফল্য পেয়ে এবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয় বরং একলা চল নীতি নিয়ে এগোচ্ছে॥ আসন্ন পঞ্চায়েতে অবস্থান কী হবে? সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, আগে নদীর কাছে যাই। তবে বুঝতে পারব কীভাবে পার করব। আগে কর্মীদের উজ্জীবিত করার কাজ শুরু হোক। তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে রাজ্যে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনার বিরুদ্ধেও আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
সিপিআইএমের কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। বিজেপির কথায়, এসব দেখিয়ে তৃণমূলকে বাড়তি অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করছে সিপিআইএম৷ অন্যদিকে তৃণমূলের কথায়, বিজেপি এবং সিপিআইএমের মধ্যে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানের লড়াই শুরু হয়েছে৷ আগামী দিনে কে কোথায় থাকবে? তা ঠিক করুক দুই পক্ষ৷