টানা দু’ম্যাচ হারের পর চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) তিন নম্বর ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসির বিরুদ্ধে ১-৩ গোলে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ হাইপ্রেসার গেম ডার্বি ম্যাচ খেলতে নামার আগে শুক্রবার প্রি ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল এফসি হেডকোচ স্টিফেন কনস্টাটাইন।
লাল হলুদ শিবিরের হাল ধরার সময় থেকেই কনস্টাটাইন বলে আসছেন খেলোয়াড়দের মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য, খেলার উন্নতির জন্য সময় চাই। ISL টুর্নামেন্ট শুরুর ৪ সপ্তাহ আগে তিনি দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন,তাই উন্নতির জন্য(ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স) সমর্থকদের ধৈহ্য ধরতে হবে।
এদিন লাল হলুদের পোড়খাওয়া বৃটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টাটাইন অনেকটা দার্শনিকতার ঢঙে বলেন,”এটা একটা বড় খেলা। এটা চাপ নয়, এটা আনন্দের। চাপ যখন শিশু বা আপনার স্ত্রী অসুস্থ হয়।” এর পর মুহুর্তে কনস্টাটাইন চরম বাস্তববাদী দার্শনিকতাকে চুলোয় পাঠিয়ে দিয়ে অত্যন্ত চাঁচাছোলা ভাষাতে বলেন,” আমরা খেলার জন্য অর্থ পেয়ে থাকি। ডার্বিতে অংশগ্রহণ করা একটি পরম আনন্দ এবং বিশেষ সম্মানের। এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।”
মুহুর্তে মনের অবস্থার পরিবর্তন প্রি ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে এসে স্টিফেন কনস্টাটাইনের। বোঝাই যাচ্ছে ডার্বি ম্যাচে মাইন্ড গেমে পড়ে চাপের মধ্যে আছেন। চাপের মধ্যে থাকাটাও স্বাভাবিক, কেননা টানা ৬ ডার্বি ম্যাচের রঙ সবুজ মেরুন। লাল হলুদ ভক্তদের পাশাপাশি ক্লাব কর্তাদের চাপ রয়েছে ডার্বি ম্যাচের রঙ বদলের।
ধুরন্ধর বৃটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টাটাইন ঠারেঠোরে বুঝে গিয়েছেন ভারতের জাতীয় দলের কোচিং করানো আর ইস্টবেঙ্গল ফুটবল টিমের কোচিং করানো দুই’র মধ্যে আকাশপাতালের দূরত্ব। আবেগ আর পেশাদারিত্ব মুখোমুখি হতেই আবেগের পাল্লা কতটা ভারী তা ইস্টবেঙ্গল -মোহনবাগানের কোচিং না করলে কোচিং কেরিয়ারের পূর্ণতা প্রাপ্তি ঘটে না।