রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমের দেশগুলির নিষেধাজ্ঞাকে “জঘন্য” বলে বর্ণনা করল চিন। চিনের একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা শনিবার এই বিবৃতি দিয়েছেন। চিনের উপ বিদেশমন্ত্রী লে ইউচেংও ন্যাটোর বিষয়ে মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে বলেছেন জোটের পূর্ব দিকে বেশি প্রসারিত হওয়া উচিত নয়।
চিন এখনও ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার পদক্ষেপের নিন্দা করেনি। একে আগ্রাসন বলেতেও নারাজ চিন। যদিও চিনের তরফে যুদ্ধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বেজিং ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার উপর পশ্চিমের দেশগুলির অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে। বেজিংয়ে সিকিউরিটি ফোরামে লে বলেন, “রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরো বেশি সাংঘাতিক হয়ে উঠছে।” রাশিয়ান নাগরিকদের “অকারণে” বিদেশি সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও মত তাঁর। তিনি বলেন, “ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে যে নিষেধাজ্ঞা সমস্যার সমাধান করতে পারে না। নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে। অর্থনৈতিক ও আর্থিক ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। বিশ্ব অর্থনীতিকে আরও খারাপ করে।”
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে ফোনে আলোচনা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিনকে তাদের পদক্ষেপ নিয়ে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, যদি বেজিং রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করে তবে চিন সমস্যায় পড়বে। এদিকে মস্কো ন্যাটোর কাছ থেকে আইনত বাধ্যতামূলক গ্যারান্টি দাবি করেছে যে তারা সম্প্রসারণ বন্ধ করবে এবং ১৯৯৭ এ স্থির হওয়া তাদের সীমায় ফিরে আসবে।