কলকাতা: কলকাতার কসবা এলাকার এক শপিং মলের পিছনের জলাশয় থেকে যুবকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক বিহারের বাসিন্দা৷ দিন কয়েক আগে তিনি কলকাতায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে ওই যুবককে জলাশয়ের পাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। তার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন৷ পরদিন সকালে ওই জলাশয়ের মধ্যেই তাঁর মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবকটি কসবার নস্করহাট মিঠেতলা জলাশয়ের পাশেই ছিলেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশের অনুমান, যুবকটি জলে ডুবেও মারা যেতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে, কিছু সন্দেহজনক দিকও তদন্তকারীদের ভাবিয়ে তুলছে। যুবকের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তারা।
এছাড়াও দেখা হচ্ছে, ওই যুবক কোনও অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, পারিবারিক কোনও সমস্যা ছিল কিনা। কসবা থানার আধিকারিকদের সঙ্গে লালবাজারের অফিসাররা প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজও শুরু করেছেন৷
খুন, আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা?
তদন্তে এটিও উঠে এসেছে যে, স্থানীয় বাসিন্দারা শুক্রবার সন্ধ্যার পরে যুবকটিকে জলাশয়ের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। এর ফলে, এটি আত্মহত্যার ঘটনাও হতে পারে৷ সেই সন্দেহ একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তবে, যুবকের মানসিক অবস্থা এবং পারিবারিক জীবন সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, এটি একটি খুনের ঘটনাও হতে পারে বলে তদন্তকারীরা ধারণা করছেন। যুবকের আত্মীয়দের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে পুলিশ।
কসবা এলাকায় আগের ঘটনা এবং বর্তমান পরিস্থিতি
কসবা এলাকায় এর আগে একাধিক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগেই এক দম্পতি তাদের সন্তানকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, পরিবারটি আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে ছিল৷ সেই কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত নেয়। এ ধরনের ঘটনার পর কসবা এলাকায় আবারও রহস্যজনক এই মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখা যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য স্থানীয়দেরও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। মৃত্যুর আসল কারণ উদঘাটনে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন তদন্তকারীরা।