BJP: দলেই আলোচনা ‘মাথা গরম’ করা শুভেন্দু ‘পতন’ আঁচ করছেন

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নরম রাজনীতি দলকে আরও তলানিতে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ জেলার নেতাদের। রাখঢাক নয়, অনেকেই স্পষ্ট জানাচ্ছেন, ক্যালকুলেশনে উঠে আসছে উত্তরবঙ্গের…

Suvendu Adhikari

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নরম রাজনীতি দলকে আরও তলানিতে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ জেলার নেতাদের। রাখঢাক নয়, অনেকেই স্পষ্ট জানাচ্ছেন, ক্যালকুলেশনে উঠে আসছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে হতাশাজনক ফলাফল। এক্ষেত্রে বিরোধী দলের দাবি, পৌরভোটে সন্ত্রাস করেই জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপির উদ্বেগ বাড়িয়েছে, সাম্প্রতিক সংঘ পরিবার বিশ্লেষণ। আরএসএস রাজ্যে হাজারের বেশি শাখা বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের অন্তর্নিহিত বিশ্লেষণ, পশ্চিমবঙ্গে ফের বামপন্থী ও কমিউনিস্ট পার্টির শক্তি বাড়ছে। বিশ্লেষকদের যুক্তি, পুরনিগম ভোটের ফল দেখেই ভবিষ্যত আঁচ করছেন সংঘের বঙ্গ নেতৃত্ব।

   

বিশ্লেষণে আরও উঠে আসছে, পূর্ব মেদিনীপুর ভিত্তিক রাজনীতি করা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে পুরো রাজ্য জুড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো মানসিক চাপ নেই। এই চাপের বহিপ্র:প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। পৌরভোটের ফলাফলে বিপদ আঁচ করতে পারছেন তিনি।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর লম্বা রাজনৈতিক জীবনে এমন বড় সংকট ভোট আসেনি, খোদ বিজেপিতেই (BJP) চলছে এমন আলোচনা। জেলা বিজেপি নেতাদের বিশ্লেষণ, উপনির্বাচন, পুরনিগম ভোটে পরপর বিপর্যয়ের ধাক্কা এমনই যে শুভেন্দুবাবু ‘দিশাহারা’। কলকাতার পর নদিয়ায় তাঁর অবস্থান বিরোধী দলনেতার মতো পদে মর্যাদার সঙ্গে যায় না।

শুভেন্দু অধিকারী পতনের চূড়ান্ত মুহূর্ত দেখতে পাবেন পৌরভোটের ফলাফলে। স্পষ্ট দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, পৌরভোটের রাজ্যে শূন্য হয়ে যাবে বিজেপি। শাসক দলের তরফে কখনও মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও আলোচিত বিধায়ক মদন মিত্র, মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সহ বিভিন্ন নেতাদের দাবি দ্রুত বিজেপি ছাড়তে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, পুরনিগম ভোট ইঙ্গিত দিয়েছে, রাজ্যে বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি পৌরভোটের ফলাফলে আরও করুণ অবস্থা ও প্রান্তিক দল হতে চলেছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সিপিআইএম উঠে আসছে বিরোধী পক্ষের ভোটব্যাংক নিয়ে। বিশ্লেষণে আরও উঠে আসছে, বিজেপি বিধানসভাকক্ষে বিরোধী দল হিসেবে থাকবে কিনা নিশ্চিত নন নেতারা।

পৌরভোটে রাজ্যে সর্বাধিক চমকপ্রদ পৌরসভা, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তনা সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষের এলাকা খড়্গপুরে বিজেপি তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দূরত্ব পৌরসভার ফলাফল তৈরি করে দিয়েছে, এমনই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। আর কাঁথিতে অধিকারী পরিবার ভিত্তিক রাজনীতি শেষের পথে বলে দাবি করেছেন টিএমসি নেতৃত্ব। জেলা নেতারা বলছেন, কাঁথিতে প্রচারে এসে শুভেন্দু বুঝে গিয়েছেন পরিস্থিতি।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নরম রাজনীতি দলকে আরও তলানিতে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ জেলার নেতাদের। রাখঢাক নয়, অনেকেই স্পষ্ট জানাচ্ছেন, ক্যালকুলেশনে উঠে আসছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে হতাশাজনক ফলাফল। এক্ষেত্রে বিরোধী দলের দাবি, পৌরভোটে সন্ত্রাস করেই জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপির উদ্বেগ বাড়িয়েছে, সাম্প্রতিক সংঘ পরিবার বিশ্লেষণ। আরএসএস রাজ্যে হাজারের বেশি শাখা বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের অন্তর্নিহিত বিশ্লেষণ, পশ্চিমবঙ্গে ফের বামপন্থী ও কমিউনিস্ট পার্টির শক্তি বাড়ছে। বিশ্লেষকদের যুক্তি, পুরনিগম ভোটের ফল দেখেই ভবিষ্যত আঁচ করছেন সংঘের বঙ্গ নেতৃত্ব।

বিশ্লেষণে আরও উঠে আসছে, পূর্ব মেদিনীপুর ভিত্তিক রাজনীতি করা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে পুরো রাজ্য জুড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো মানসিক চাপ নেই। এই চাপের বহিপ্র:প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। পৌরভোটের ফলাফলে বিপদ আঁচ করতে পারছেন তিনি।