Alipurduar: দলত্যাগ জল্পনা উস্কে ৩৫৬ ধারা বিলোপ দাবি বিজেপি বিধায়কের

বিজেপির অন্দরমহলে যে ফাটল ধরেছে তা ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। এবার ৩৫৬ ধারার যৌক্তিকতা নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। বিজেপি সরাসরি প্রশ্ন…

BJP

বিজেপির অন্দরমহলে যে ফাটল ধরেছে তা ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। এবার ৩৫৬ ধারার যৌক্তিকতা নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।

বিজেপি সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, অপ্রয়োজনীয় অগণতান্ত্রিক হিসেবে পরিগণিত ৩৫৫-৩৫৬ ধারা ভারতীয় সংবিধান থেকে তুলে দেওয়াই কি তাহলে যুক্তিসংগত?

   

এর পরেই বিজেপি বিধায়কেপ দলত্যাগ জল্পনা বাড়ল। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ঘরে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শিলিগুড়ির জনসভা থেকে তিনি জানিয়েছিলেন ৩৫৬ ধারা বা সিবিআই দাবি নয়। বিজেপি কে লড়াই করতে হবে রাজনৈতিকভাবে। বঙ্গ বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকদের এমন বার্তা দিয়েছিলেন অমিত শাহ। আর এরপরই প্রশ্ন উঠেছে।

অমিত শাহ এমন বলার পর থেকে আরও হতাশ বঙ্গ বিজেপি বলে চর্চা চলছে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক জানিয়েছেন, রাজ্যের এই কঠিন পরিস্থিতিতে সংবিধানের ধারা যেগুলি সাধারণ মানুষের রক্ষাকবচ হতে পারে, তা যদি প্রয়োগ করা না যায় তাহলে তারা রেখে লাভ কি? তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, আদৌ কি এই ধারাগুলির কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে বা সংবিধানে রাখার কোনও প্রয়োজন আছে ?

যদিও বিধায়কের এই ধরনের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে কোনও ধরনের মন্তব্য করতে চাননি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তবে দলের অন্তরে শুদ্ধিকরণের ডাক দিয়েছেন জেলা বিজেপি সভাপতি জানান, যারা বিভিন্ন পদে রয়েছে, যারা বিভিন্ন নেতৃত্বে রয়েছে তাদেরকে একত্রিত করতে হবে। তাদের শৃংখলাবদ্ধ করতে হবে। কারণ দল আগামী দিনে ক্ষমতায় আসবে যদি আমাদের মধ্যে অনুশাসন না থাকে, শৃঙ্খলা না থাকে তাহলে তা তৃণমূল সরকারের মত হয়ে যাবে। আগে প্রত্যেককে বুঝতে হবে, শিখতে হবে কোনটা মানুষের জন্য ভালো। কোনটা লিখতে হবে, কোনটা লিখতে হবে না।