কিছুদিন আগেই প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ডিসেম্বরের শেষেই বাংলায় সরকার (Bengal government) বদল৷ রবিবার ফুলেশ্বরের সভা থেকে দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের রেশ টানলেন শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)। এবার তাঁর কথা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে উঠে আসে অভিষেক বন্দ্যোপাধায়ের ফোন কল রেকর্ডিংয়ের প্রসঙ্গ৷ তিনি বলেন, আমি তো কালকেও বলেছি আপনি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করুন। সঙ্গে ফোন নম্বরটাও দিতে হবে। আমার ফোন নম্বরটা দিতে হবে। কোন ফোনে কথা হয়েছে। আর যদি ফোন নম্বরটা আমার না হয় ধরে নেব সুদীপ্ত সেনের চিঠির মতো এটা কাউকে পয়সা খরচ করে বানিয়েছেন।
এরপরেই শুভেন্দুর বক্তব্য, আমাকে তুই তোকারি করছে বাংলার মানুষ এগুলো দেখছে। বেশি দিন মানতে হবে না। পুজোটা কাটিয়ে নিতে দিন না। এদিন তিনটে ইস্যুতে লড়াইয়ের ডাক দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘মেধাযুক্ত চাকরি, ঘুষমুক্ত কর্মসংস্থান, কাটমানিমুক্ত পরিষেবা কেন মানুষ পাবে না?
তাঁর কথায়, সবাইকে নিয়ে নন্দীগ্রাম করে সিপিএমকে তাড়িয়ে ছিলাম। আর আমি দিলীপদা, সুকান্ত মজুমদার সবাইকে নিয়ে এদেরকেও তাড়াব৷ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, চোরদের যিনি সংরক্ষণ করেছেন, তাঁকে সরাতে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে এই প্রস্তুতি সভা।
একইসঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্য, পশ্চিমবাংলায় সিপিএমের সময় ছিল ১ কোটির বেশি বেকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বানিয়ে দিয়েছেন ২ কোটির বেশি বেকার। আশেপাশে যে কোনও গ্রামে গেলে দেখবেন হাজার হাজার ছেলে বাইরের রাজ্যে চলে গেছে। নিজেদের রুটিরুজির জন্য ফ্লাইওভারের নীচে থেকে একবেলা খেয়ে তাঁরা তাঁদের সংসার চালাচ্ছে। আমাদের রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লক্ষ। সিপিএমের আমলে ছিল ৫ লক্ষের বেশী৷