প্রশ্ন ফাঁসের ষড়যন্ত্র হয়েছিল দমদম এয়ারপোর্টের পাশেই? মধ্যমগ্রামের তিনজনকে গ্রেপ্তার বিহার পুলিশের!

কিছুদিন আগেও অভিযোগ করা হচ্ছিল বাংলার বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনায় ভিনরাজ্যের, বিশেষ করে বিহারের আততায়ীদের হাত আছে। কিন্তু এবার বিহারে ঘটে যাওয়া দুষ্কর্মে (Bihar Police Constable…

কিছুদিন আগেও অভিযোগ করা হচ্ছিল বাংলার বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনায় ভিনরাজ্যের, বিশেষ করে বিহারের আততায়ীদের হাত আছে। কিন্তু এবার বিহারে ঘটে যাওয়া দুষ্কর্মে (Bihar Police Constable Exam) নাম জরিয়ে পড়ল খোদ বাংলারই। তাও আবার যে সে অপরাধ নয়, সরকারি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের মতো গুরুতর অপরাধ। একদিকে গোটা দেশে একের পর এক হাই প্রোফাইল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেখানেই এবার পড়শী রাজ্যের পুলিশের পরীক্ষার (Bihar Police Constable Exam) প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় বঙ্গযোগে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

ফেরত দিতে হবে না মাইনে? হাইকোর্টে শিক্ষকদের জয়ে মুখ পুড়লো শিক্ষা দফতরের!

   

গত বছর অক্টোবর মাসেই বিহারে কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষা(Bihar Police Constable Exam) বাতিল হয় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে। অক্টোবরের ১ তারিখে নেওয়া পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায় ৩ তারিখে। সেই সময় রীতিমত কোমর বেঁধে ঘটনা তদন্তের আগে বিহার পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা। তাদের তদন্তেই এবার উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের তিন বাসিন্দার নাম।

ধৃত কৌশিক কর, সুমন বিশ্বাস, সঞ্জয় দাস, ৩ জনই উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। মধ্যমগ্রামের কাছেই গঙ্গানগর এলাকার একটি প্রিন্টিং প্রেসে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়েছিল বলে দাবি করছে পাটনা পুলিশ। গঙ্গানগরের ওই প্রেসেরই মালিক কৌশিক কর। ধৃত ৩ জনের নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলার সরাসরি যোগ রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পাটনা পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা। কারণ গতবছরের এই অক্টোবর মাসেই কলকাতা এসেছিল নিট কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জীব মুখিয়া। আপাতত এই ৩ জনকে তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রকাশিত মাধ্যমিক ২০২৫-এর রুটিন, জানুন কবে কোন বিষয়ের পরীক্ষা?

শুধু এই তিনজন নয়, উত্তর প্রদেশ থেকেও আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যার নাম সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে গত ৫ই জুন তিনজনকে আটক করা হয় যারা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি তারা প্রত্যেকেই কুখ্যাত পরীক্ষা মাফিয়া চক্র ‘মুখিয়া গ্যাংয়ের’ সক্রিয় সদস্য।

তবে বিহার পুলিশের চিন্তা, নিট কেলেঙ্কারির অন্যতম চক্রী সঞ্জীব মুখিয়া যদি কলকাতা এসে থাকেন, তাহলে তিনি কি মধ্যমগ্রামে গিয়েছিলেন?  ধৃত তিনজনের সঙ্গে কি সরাসরি কোনও কথাবার্তা হয়েছিল সঞ্জীবের? দমদম এয়ারপোর্টের কাছাকাছি গঙ্গানগরেই অভিযুক্তদের এই প্রিন্টিং প্রেস। এখানে বসেই কি আরও কোনও অন্য পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল? সেসব উত্তর খুঁজছেন এখন বিহার পুলিশের আধিকারিকেরা। সেক্ষেত্রে নিট দুর্নীতি মামলারও কোনও বড়সড় সূত্র সামনে আসতে পারে এমন সম্ভাবনাও থাকছে।