ভোরের আলোয় রবীন্দ্রসঙ্গীত, মঙ্গল শোভাযাত্রায় নব আনন্দে জাগো…১৪২৯ বরণে বাংলাদেশ

করোনাভাইরাসজনিত মহামারির কারণে প্রায় দু’ বছর পর, বাংলাদেশে ফের বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ (Bengal new year) ১৪২৯ উদ্‌যাপন হবে। প্রত্যুষে ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের সঙ্গীত…

Bengal new year celebration in bangladesh

করোনাভাইরাসজনিত মহামারির কারণে প্রায় দু’ বছর পর, বাংলাদেশে ফের বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ (Bengal new year) ১৪২৯ উদ্‌যাপন হবে। প্রত্যুষে ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের সঙ্গীত অনুষ্ঠান। আর বেলা বাড়ার সঙ্গে মঙ্গল শোভাযাত্রা দিয়ে বরণ করা হবে বাংলা বছরের প্রথম দিন।

বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রক যুগ্মসচিব (অনুষ্ঠান) এ জে এম আব্দুল্যাহেল বাকী জানান, করোনার কারণে গত দুই বছর রমনা বটমূল বর্ষবরণের কোনও আয়োজন ছিল না। এবার ছায়ানটকে রমনার বটমূলে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে, বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করার অনুমোদন দিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রক।

Bengal new year celebration in bangladesh

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার ভয়াবহ স্মৃতি আছে বাংলাদেশে। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল তারিখে অর্থাৎ বাংলা ১৪০৮ সালের পহেলা বৈশাখ রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হুজি-বি জঙ্গি হামলা হয়। বোমা বিস্ফোরণে ১০ জন মারা যান। এই ধরণের নাশকতা রুখতে তৈরি বাংলাদেশ সরকার। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী সহ সর্বত্র কড়া নিরাপত্তা রয়েছে।

বর্ষবরণের অন্যতম মুখোশ মিছিল। মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ নিষিদ্ধ থাকছে। কড়া নজরদারি চলছে। সবাইকে নিয়ম মেনে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে। এমনই জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ ও ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন।

নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ধর্মীয় বিভেদমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় স্নাত হয়ে আসুন, বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলি। যেখানে বৈষম্য থাকবে না, মানুষে মানুষে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ, থাকবে না ধর্মে-ধর্মে কোনো বিভেদ।’ তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আসুন বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করি।’