দলের হাল বেহাল। পরপর উপনির্বাচন ও পুরভোটে বিরোধী দল হিসেবে লজ্জাজনক ফলাফল। এ রাজ্যে বিজেপি এখন তৃতীয়স্থানে। বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্বীকার করেছেন, সিপিআইএমের নিচে নেমেছে বিজেপি। এই অবস্থা কেন হলো তার জবাব দিতে হবে অমিত শাহকে। তাঁর ধমক নিশ্চিত বুঝে হোটেলের এসি ঘরে ঘামছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য সফরের দ্বিতীয় দিন। শুক্রবার নিউটাউনের হোটেলে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শাহ। জানা গিয়েছে দুটি দফায় হবে বৈঠক। প্রথম বৈঠক হবে সাংগঠনিক। দ্বিতীয় দফার বৈঠকে হবে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে। অর্থাৎ সাংসদ, বিধায়ক ও কাউন্সিলরদের নিয়ে।
সাংগঠনিক বৈঠক থেকে অমিত শাহ জেনে নেবেন বর্তমানে রাজ্যের পরিস্থিতি কি এবং দলের পরিস্থিতি কেমন। দলের মধ্যে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, বেসুরো একাধিক কর্মী সমর্থক, দল ছাড়ার হিড়িক লেগেছে। সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে আজ।
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, যেভাবে কর্মীদের ওপরে অত্যাচার হয়েছে, ভয় দেখানো হয়েছে সেই বিষয় নিয়ে আজ বৈঠক করা হবে। একদিকে উত্তরবঙ্গে হয়েছে অমিত শাহের সভা। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে মহা মিছিল। তৃণমূলের জয়ের বর্ষপূর্তিতে কলকাতায় মহামিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখান থেকেই বিজেপির অন্দরমহলের কর্মীরা বুঝে গিয়েছে বিজেপি মরে যায়নি, এখনও জীবিত রয়েছে।
তবে বিরোধী দলের ভাঙন চলছেই। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরও ভাঙবে বিজেপি।