Bangladesh: নারী সেজে কিশোরীকে ক্রমাগত ধর্ষণ, তদন্তে চমক

News Desk: নারী গুনিন সেজে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধ মানসিকতার নতুন দিক উঠে এসেছে। এমন ধরণের ধর্ষণ বিরল বলেই মনে করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের…

News Desk: নারী গুনিন সেজে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধ মানসিকতার নতুন দিক উঠে এসেছে। এমন ধরণের ধর্ষণ বিরল বলেই মনে করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের কামরাঙ্গীরচর এলাকার ঘটনা। তদন্তে নেমেছে ঢাকা বিভাগের পুলিশ।

ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ওই নারী বেশধারী ধর্ষক নিজেকে গুনিন পরিচয় দিয়েছে। তার নাম আবদুল মান্নান। অভিযুক্তর মেডিকেল টেস্টের পর প্রমাণ হয় আবদুল মান্নান নারী রূপ নিয়ে কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে। তার ছদ্ম নাম অ্যানি জাহান।

তদন্তে উঠে এসেছে, মানসিক সমস্যায় ভুগতে থাকা এক কিশোরীকে গুনিনের কাছে নিয়ে যান মা বাবা। অভিযোগ, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার রাতে রোগীকে তার বাসায় থাকতে হবে বলে নিদান দেয় গুনিন আবদুল মান্নান ওরফে অ্যানি জাহান। সে ঘোষণা করে, পোষা জিন ডেকে চিকিৎসা করাবে। মেয়েটির অভিভাবক তাতে রাজি হন। প্রায় দেড় বছর চিকিৎসা হলেও রোগ আর সারেনি।

কিশোরীর অসুস্থতা বাড়ে। একপর্যায়ে প্রকাশ্যে আসে ধর্ষণের ঘটনা। অভিযোগ, আবদুল মান্নান নারী ছদ্মবেশে চিকিৎসার নামে কিশোরীকে অচেতন করে ধর্ষণ করেছে দিনের পর দিন। পুরো ঘটনা সামনে আসতেই নিজেকে নারী দাবি করে অভিযোগ খণ্ডানোর চেষ্টা করে আবদুল মান্নান ওরফে অ্যানি জাহান। মামলায় জামিনও মেলে তার। পরে পুলিশের তদন্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা যায়, সে আসলে পুরুষ। মেয়েটিও ধর্ষণের শিকার।

কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার সিকদার মহিতুল আলম জানান, ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর আবদুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তদন্তে উঠে এসেছে, ধর্ষিতা কিশোরী মানসিক সমস্যার শিকার। তার এক আত্মীয়ার মৃত্যুর পর থেকে সে ভয় পেতে শুরু করেছিল। তার আচরণ অস্বাভাবিক হতে শুরু করে। প্রতিবেশীদের পরামর্শে কামরাঙ্গীরচরের খলিফাঘাট এলাকার গুনিন অ্যানি জাহানের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সে জানায়, কিশোরীর ওপর জিনের নজর পড়েছে। জিন ছাড়াতে হলে তার কাছে সপ্তাহে দু রাত থাকতে হবে।

অন্ধ বিশ্বাসের ফলে মেয়েকে গুনিনের কাছে রেখে চলে আসেন মা-বাবা। পরে মেয়ের শরীরে আঁচড়ের দাগ দেখে তারা কারণ জানতে চান। গুনিন ব্যাখ্যা দেয়, রাতে জিন তাকে আঁচড় দিয়েছে। এভাবেই সময় গড়াতে থাকে। কবিরাজের নির্দেশে কিশোরীকে নিয়ে চলতি বছরের জুন মাসে মেয়েটির সিলেটে যায় গুনিন। সেখানে হোটেলে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পারেন।

ঢাকায় আসার পর কিশোরীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করে গুনিন অ্যানি জাহান ওরফে আবদুল মান্নান। এর পরেই মামলার মোড় নেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তার মেডিকেল টেস্ট হয়। আপাতত পুলিশের জালে নারী বলে নিজেকে পরিচয় দেওয়া আসলে পুরুষ ধর্ষক আবদুল মান্নান।