Bangladesh: মাঝ নদীতে লঞ্চে আগুন, ‘শ্বাসনালী’ পুড়ে যাওয়া যাত্রীরা ‘ক্রিটিক্যাল’

News Desk: বাংলাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন ধরে মৃত্যের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। সরকারিভাবে মৃত ৪০, বেসরকারিভাবে ৫০ জন। অন্তত দশজন বেশি সংকটজনক। ভয়াবহ পরিস্থিতির পরেও যারা বেঁচে গিয়েছেন তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছে।

Advertisements

ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১০ জন যাত্রীর প্রত্যেকে ক্রিটিক্যাল এমনই জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

   

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে বলেই আশঙ্কা। লঞ্চের আগুন জখম আরও ৭০ জনের চিকিৎসা চলছে বরিশালের শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শতাধিক যাত্রীর কোনও খোঁজ নেই।

বরিশাল বিভাদের ঝালকাঠিতে এই দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা। কারণ, লঞ্চে আগুন ধরে যাওয়ায় তারা জীবন বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ মেরেছিলেন। যারা কোনওরকমে পাড়ে উঠতে পেরেছেন তারা ভয়াবহ মুহূর্তে বর্ণনা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে লঞ্চে আগুন ধরে। সুগন্ধা নদীর উপর আগুনে জ্বলছিল পুরো লঞ্চ।
যাত্রীরা জানিয়েছেন ইঞ্জিনরুমের পাশে ক্যান্টিন, সেই ক্যান্টিনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে আগুন ধরে যায় ডিজেলে। এর পরেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে।

Advertisements

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী থাকলেও আগুনে ৭০-৮০ জন দগ্ধ হয়েছেন। তবে ঠিক কতজন লোকের মৃত্যু হয়েছে এর সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি।

এই দুর্ঘটনার জেরে বাংলাদেশ নৌ পরিবহণ মন্ত্রক চরম বিতর্কে। জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির অভিযোগ, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও দেশের নৌ পথ পরিবহণ ব্যবস্থা যে কত খারাপ তার উদাহরণ এই দুর্ঘটনা।

দুর্ঘটনার পর শোক জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিহত ও আহতদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। নিহতদের প্রতি পরিবারকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, সরকার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।

শুক্রবার সকাল থেকে দুর্ঘটনাস্থল জুড়ে  হাজার হাজার মানুষের কান্না। পুড়ে যাওয়া লঞ্চ এমভি অভিযান থেকে সারি সারি মৃতদেহ বের করা হয়েছে।