টিলা-নদী-ঝর্ণার মিলনস্থল ঘাটশিলা

নিউজ ডেস্ক: কলকাতা : রেললাইনের সঙ্গে সমান্তরালে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা। মাঝে রাজপথ। আর সুবর্ণরেখা নদীকে ভর করে শহরের বিস্তার। উপরি পাওনা বিভূতিভূষণের বসতবাড়ি। কাছেই পাণ্ডব…

নিউজ ডেস্ক: কলকাতা : রেললাইনের সঙ্গে সমান্তরালে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা। মাঝে রাজপথ। আর সুবর্ণরেখা নদীকে ভর করে শহরের বিস্তার। উপরি পাওনা বিভূতিভূষণের বসতবাড়ি। কাছেই পাণ্ডব পাহাড়ে কালী মন্দির। শাল, আমলকিতে ছাওয়া ডোহিজোড়া, মোসাবনির মনোরম পরিবেশ। দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পাহাড়ি টিলা, সুবর্ণরেখার জলে রক্তিম আভা। আর পাহাড়ি টিলায় সূর্য অস্ত যাওয়ার অসাধারণ দৃশ্য। এইসব কিছু নিয়েই এককথায় রূপবতী ঘাটশিলা। কংক্রিটের ব্যস্ততা আর ক্লান্তি কাটাতে আইডিয়াল ডেস্টিনেশন হতেই পারে ঘাটশিলা। হাতে দু থেকে তিন দিনের ছুটি থাকলেই ঘুরে আসা যায় পাহাড়-ঝর্ণা -নদীর সহাবস্থানে ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার এই শহরে। কলকাতা থেকে মাত্র ২১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুবর্ণরেখা নদীর ধারের এই স্থানে শায়িত শত শত শিলা। তাই জায়গার নাম হয়েছে ঘাটশিলা। রঙ্কিনী দেবীর মন্দির, চিত্রকূট পাহাড়ের শিবমন্দির, পঞ্চপাণ্ডব পাহাড়, গৌরীকুঞ্জ, কালদিঘি ডাম্প, রাতমোহনা ব্রিজের পাশাপাশি এই জায়গার অন্যতম আকর্ষণ তামার খনি।

কীভাবে যাবেন:

সড়কপথে এবং রেলপথে খুব সহজেই ঘাটশিলা পৌঁছে যেতে পারেন। সকালে হাওড়া থেকে সকাল ৬.৫৫-এর ইস্পাত এক্সপ্রেস ধরে ৯.৫১ মিনিটে ঘাটশিলা পৌঁছে যান। ঘাটশিলা থেকে ইস্পাত এক্সপ্রেস দুপুর ৩.৩০ নাগাদ ছাড়ে।

হোটেল ও খাবার দাবার:

ঘাটশিলা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র। এখানে সাধ্যের মধ্যে অনেক হোটেল পাওয়া যায়। স্টেশনের কাছেই বেশ অনেকগুলি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এখানে নিরামিষ বা আমিষ দুই ধরণের রসনাতৃপ্তি হবে।

শান্ত নির্জন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে একান্তে উপভোগ করা এবং ঝাড়খণ্ডের লুক্কায়িত সম্পদ পরিদর্শনের জন্য আপনাকে আসতেই হবে ঘাটশিলা।